মায়ের কবরে দাফন হবে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের

Looks like you've blocked notifications!
গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ছবি : সংগৃহীত

কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে আগামীকাল সোমবার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। সেখানে তিনি তাঁর মায়ের কবরে শায়িত হবেন।

সোমবার সকাল ১১টায় এই গীতিকারের মরদেহ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে; এরপর নেওয়া হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আজ রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল।

আজ রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে  গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

জানা গেছে, গত কয়েক দিন থেকে অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। আজ সকালে অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।
 
‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’সহ অসংখ্য গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি ২০০২ সালে একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন পাঁচ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই গীতিকার-প্রযোজক।
 
অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের গান ও কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
 
১৯৬৪ সাল থেকে গাজী মাজহারুল আনোয়ার তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। বছরের পর বছর তিনি গান লিখেছেন। তাঁর গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ ও অনুভূতির কথা। এখন পর্যন্ত তাঁর রচিত গানের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। জনপ্রিয় বেশ কিছু ঢাকাই সিনেমার পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন তিনি।
 
গাজী মাজহারুল আনোয়ার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক’ ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়। তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৪১ টি।