যে নাটকের শুটে সত্যিই কেঁদেছেন ফারিণ, স্তব্ধ শুটিং ইউনিট

Looks like you've blocked notifications!
‘আমার কেরানি বাবা’ নাটকের শুটে ফজলুর রহমান বাবু ও তাসনিয়া ফারিণ। ছবি : এনটিভি অনলাইন

দৃশ্য শেষ। ‘কাট’ বলে দিয়েছেন পরিচালক, তবুও কান্না থামছে না তাসনিয়া ফারিণের। চোখে ভেসে উঠছে নিজের বাবার মুখ। এনটিভির ঈদ আয়োজনের ‘আমার কেরানি বাবা’ নাটকের দৃশ্যধারণ করতে গিয়ে এমন আবেগী হয়েছেন অভিনেত্রী।

নাটকে তাসনিয়া ফারিণের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন খ্যাতিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। ফারিণ বলছিলেন, ‘বাস্তবে বাবার প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। শুটিংয়ের তৃতীয় দিন ছিল এই দৃশ্য। টানা তিন দিন একসঙ্গে শুটিংয়ে চরিত্রের মধ্যে থাকার কারণে বাবু ভাইকে বাবার মতোই অনুভব হয়েছিল।’

অভিনয়ে বাস্তব আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা প্রসঙ্গে ফারিণের ভাষ্য, ‘গল্প, বাবু ভাইয়ের এক্সপ্রেশন—সবকিছু মিলে আমি এমনভাবে চরিত্রটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। দৃশ্য শেষ হওয়ার পরও আমি কাঁদছিলাম। পরে শুনেছি, যাঁরা শুটিং দেখছিলেন তাঁদের চোখেও নাকি জল ছিল।’

ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে এনটিভির জন্য ‘আমার কেরানি বাবা’ নির্মাণ করছেন শ্রাবণী ফেরদৌস। এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপে বলছিলেন, ‘গল্পটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে একজন বাবা সৎ উপায়ে মা-হারা মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে টানাপোড়েনের।’

পরিচালকের মতে, ‘একটা ভালো কাজ করতে গেলে সময় লাগে। আমরা তিন দিনে কাজটা করেছি, হয়তো আরও এক দিন বেশি করতে পারলে ভালো হতো। তবে আমরা সবাই আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি একটা ভালো কাজ দেওয়ার জন্য; দর্শক নিশ্চয়ই আলাদা একটি আমেজ পাবে গল্পে, চরিত্র ও নির্মাণে।’
 
শ্রাবণী ফেরদৌস আরও যুক্ত করেছেন, ‘শেষ দৃশ্যে সবার খারাপ লাগবেই। ফারিণ এতটাই চরিত্রের ভেতর ঢুকে গিয়েছিল যে সে কান্না থামাতেই পারছিল না। ইউনিটের সবাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। নাটকে তামিম মৃধা অভিনয় করেছেন; তাঁকে আগে কখনও এভাবে দেখেনি দর্শক।’

প্রযোজক কাজী রিটন বলেন, ‘নাটকের গল্প নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়ে। প্রত্যেকের জীবনে এমন কিছু ঘটনা থাকে, যা সবাইকে ছুঁয়ে যায়। অভিনয়শিল্পীরা তাঁদের চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। আশা করি, এই নাটকের গল্প সব শ্রেণির দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে।’