বলিউডে বিদ্যার দৌড়
বলিউডের আলো ঝলমল আঙিনায় আসার আগে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই কিন্তু লেখাপড়ার পাট ঠিকঠাকভাবে চুকিয়ে এসেছেন। অনেকে আবার শুরু করলেও বলিউডে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় শেষ করতে পারেননি। তবে অভিনয় বা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও কয়েকজন বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীর বিদ্যার দৌড় দেখে রীতিমতো অবাক হতে হয়। ব্লুগেপ ওয়েবসাইট জানিয়েছে বলিউডে বিদ্যার দৌড়ের কিছু উদাহরণ।
প্রীতি জিনতা
বিউটি উইথ ব্রেইন উপাধিটা প্রীতি জিনতাকে দেওয়াই যায়। ইংরেজিতে গ্র্যাজুয়েশন করার পর মনোবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করে ক্রিমিনাল সাইকোলজিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেছেন তিনি।
অমিতাভ বচ্চন
বচ্চন সাহেবের যে শুধু রাশভারী গলা আছে তা নয়, ডিগ্রিও নিয়েছেন বেশ ভারী ভারী। সায়েন্সে ডাবল মাস্টার্স করার পর অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেটও করেছেন।
কারিনা কাপুর খান
স্কুল থেকেই মেধাবী কারিনা। অনার্সে ছিল ফার্স্ট ক্লাস। দুই বছর ব্যবসায় শিক্ষা পড়েছিলেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোকম্পিউটারে কোর্স শেষ করেন। এখানেই শেষ নয়, অভিনয়ে আসার আগে এক বছর আইন নিয়েও লেখাপড়া করেছিলেন তিনি।
জন আব্রাহাম
ধুম ছবিতে বুদ্ধিমান চোরের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেলেও তাঁর কিন্তু বিদ্যার ধার বেশ। অর্থনীতিতে অনার্স করেছেন মুম্বাইয়ের নার্সি মঞ্জি ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ থেকে। এরপর মাস্টার্স করেছেন মুম্বাই এডুকেশনাল ট্রাস্ট থেকে।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন
শুধু যে রূপ দিয়ে বিশ্বসুন্দরী হয়েছেন, ব্যাপারটা মোটেও সে রকম নয়। হাইস্কুলে ৯০% নম্বর তুলেছিলেন ঐশ্বরিয়া। ইচ্ছে ছিল প্রাণিবিদ্যায় পড়বেন। আবার পরে ভেবেছিলেন মেডিসিন নিয়ে পড়বেন। কোনোটাই হয়নি, স্থির হলেন স্থাপত্যবিদ্যায়। কিন্তু মাত্র ২১ বছর বয়সে মিস ওয়ার্ল্ড হয়ে যাওয়ায় লেখাপড়াটা আর চালিয়ে যেতে পারেননি।
আর মাধবান
থ্রি ইডিয়টসের ফারহান কুরেশির কথা মনে আছে? ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে তিনি হয়েছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার। ফারহানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা আর মাধবান। বাস্তবে কিন্তু তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছিলেন। পরে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ‘রং দে বাসন্তি’ ছবিতে পাইলটের চরিত্রে অভিনয় করা আর মাধবন কানাডায় ভারতের সাংস্কৃতিক দূত হিসেবে কাজ করেছেন। মহারাষ্ট্র বেস্ট ক্যাডেট পদক জিতে ইংল্যান্ডও ঘুরে এসেছেন তিনি। একেবারে অলরাউন্ডার বলতে যা বোঝায় আর মাধবন তাই!
বিদ্যা বালান
মুম্বাইয়ের নামকরা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে সমাজতত্ত্বে অনার্স করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব মুম্বাই থেকে মাস্টার্সও করেছেন।
ফারদিন খান
বলিউডে অবস্থানটা শক্তপোক্ত করতে পারেননি। কিন্তু লেখাপড়ার ভিত বেশ শক্ত ফারদিন খানের। ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি।
সোহা আলী খান
নবাবতনয়া সোহা আলী খান নয়াদিল্লিতেই একটি ব্রিটিশ স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। এরপর বাল্লিওল কলেজ হয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে আধুনিক ইতিহাস নিয়ে পড়েছেন। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মাস্টার্স করেছেন তিনি।
রণদীপ হুদা
‘জিসম টু’, ‘হিরোইন’, ‘কিক’-এ রকম বেশকিছু ব্যবসাসফল ছবির অভিনেতা রণদীপ হুদার স্কুল ছিল দিল্লি পাবলিক স্কুল। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে মার্কেটিং অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে বিবিএ করেছেন তিনি।
পরিনীতি চোপড়া
হাতে এখন কোনো ছবি না থাকলেও পরিনীতির শুরুটা ছিল উজ্জ্বল। ম্যানেচেস্টার বিজনেস স্কুল থেকে তিনটি বিষয়ে অনার্সের ডিগ্রি পেয়েছেন তিনি। বিজনেস, ফিন্যান্স এবং ইকোনমিকসে ডিগ্রি নেওয়ার পর ভেবেছিলেন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হবেন। কিন্তু পরে মন বদলে নেমে পড়েন সিনেমায়।