তারকার বই ভাবনা
বইমেলায় ৫০০ অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন মিম!
জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিম বাংলা সাহিত্যে স্নাতক করেছেন। এখন স্নাতকোত্তর করছেন। অবসরে বই পড়তে ভালোবাসেন তিনি। তাঁর লেখা দুটি বইও আছে। একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে এনটিভি অনলাইনের বিশেষ আয়োজনে নিজের পড়া প্রিয় বই, বই নিয়ে মজার স্মৃতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন মিম।
প্রিয় বই : অনেক প্রিয় বই আছে। এখন যদি বলি, তাহলে হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ বইটির কথা বলব। ‘আমার আছে জল’ ছবিটিতে অভিনয় করেও আমার দারুণ লেগেছে। আমি বইটা একবার নয়, বহুবার পড়েছি।
প্রিয় লেখক : অবশ্যই হুমায়ূন আহমেদ। এ ছাড়া সমরেশ মজুমদারের লেখাও আমার পছন্দ।
এখন কী বই পড়ছেন : আপাতত কোনো বই পড়ছি না। সামনে আমার মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা। পড়াশোনা ও চলচ্চিত্রের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।
সামনে কী বই পড়বেন : সমরেশ মজুমদারের ‘গর্ভধারিণী’ পড়ব বলে ঠিক করেছি। বইটির অর্ধেক পড়া শেষ। একটু অবসর পেলে বাকি অর্ধেক পড়া শুরু করব। আমার ছোট বোন মমি অনেক বই পড়ে। মমির কাছ থেকে কিছু বই নিয়ে পড়ব বলে ঠিক করেছি।
প্রথম বইমেলা যাওয়ার অভিজ্ঞতা : আমার লেখা প্রথম গল্পের বই ‘শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভেজা’ একুশে বইমেলায় ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। শব্দশিল্প প্রকাশনী থেকে বইটি বের হয়েছিল। প্রকাশকের আগ্রহেই মূলত বইটি বের করেছিলাম। তখনই প্রথম বইমেলায় গিয়েছিলাম। আমি বইয়ের স্টলে ঢুকতেই দর্শক ও পাঠকের অনেক ভিড় হয়ে গিয়েছিল। মনে আছে, সেদিন বইমেলায় একদিনে ৫০০ অটোগ্রাফ দিয়েছিলাম। অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় আমার মাথায় ছিল না যে কত কপি বইয়ে আমি অটোগ্রাফ দিচ্ছি। পরে প্রকাশক আমাকে জানিয়েছিলেন যে আমি মেলায় যাওয়ার পর সেদিন স্টলে ৫০০ কপি বই ছিল। বইয়ে অটোগ্রাফ দেওয়ার আনন্দ সত্যিই অনেক ব্যতিক্রম ছিল। ‘পূর্ণতা’ নামে একটি উপন্যাসও আমি লিখেছি। তবে দীর্ঘদিন শুটিং নিয়ে শুধু ব্যস্ত আছি। নতুন কোনো কিছু লিখছি না। এবারের বইমেলায় আমার যাওয়ার কথা রয়েছে। শুটিংয়ের অবসরে একদিন বইমেলায় ঘুরে আসতে চাই।