‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

প্রচারের চার বছর পর নিজেকে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’-এর নির্মাতা দাবি করে দেশের বাইরে থেকে পুরস্কার নিলেন মাইনুল হোসেন মুকুল নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি জেনে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেড ডট মাল্টিমিডিয়া। ২০১১ সালে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখানো হয়েছিল প্রামাণ্যচিত্র বিউটিফুল বাংলাদেশ। সে সময় টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এর নির্মাতা হিসেবে নাম ছিল গাজী শুভ্রর।
গতকাল ২৩ জুন মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে রেড ডট মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড। আলোচিত তথ্যচিত্র ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
রেড ডট মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড এক লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জানায়, ‘২০১১ সালে বাংলাদেশ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইসিসি বোর্ড ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে। এই প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মধ্যে ছিল ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’। প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন রেড ডট প্রোডাকশন হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা গাজী নুরুদ্দিন আহমেদ শুভ্র। তখন আইসিসির বিজ্ঞাপনী সংস্থা হিসেবে মনোনীত ছিল গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেড। গ্রে এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের দায়িত্ব দেয় রেড ডট প্রোডাকশন হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা গাজী নুরুদ্দিন আহমেদ শুভ্রকে। তিনিই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেন এবং গ্রে অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করেন। এই কার্যক্রমের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ছিলেন গ্রে অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাউসুল আলম শাওন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেড ডট মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মাহফুজ আনাম জেমস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা গাজী নুরুদ্দিন আহমেদ শুভ্রসহ আরো অনেকে।
রেড ডট মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান জেমস বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি মইনুল হোসেন মুকুল ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা দাবি করছেন। এমন মিথ্যা উদ্ভট দাবি করা হচ্ছে তাও আবার এত বছর পর! সেই সময় ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’-এর তিনটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। তিনটি প্রামাণ্যচিত্রে অসংখ্য মানুষ শ্রম দিয়েছেন। এই তথ্যচিত্র নির্মাণের সময় ১৫৬ জন সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁদেরই একজন ছিলেন মুকুল। এ ছাড়া প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই। নির্মাতা হিসেবে ভিত্তিহীন দাবিদার মুকুল তাঁর দাবির পক্ষে কোনো ওয়ার্কঅর্ডার ও তথ্যপ্রমাণের কাগজও দেখাতে পারবেন না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, প্রামাণ্যচিত্রগুলোর স্বত্বাধিকারী হচ্ছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও আইসিসি। এর মেধাস্বত্ব গ্রে অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড ও রেড ডট মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের।