চলচ্চিত্রে সফল হতে চাই : মিম
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/12/photo-1423736851.jpg)
বিদ্যা সিনহা মিম এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ছোটপর্দার গণ্ডি পেরিয়ে মিম এখন বড় পর্দার তারকা। বর্তমানে মিম ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘সুইট হার্ট’ ছবিতে কাজ করছেন। ছবিতে মিমের বিপরীতে কাজ করছেন বাপ্পী। সম্প্রতি মিম ইউটিউবে নিজের চ্যানেল খুলেছেন। নিজের ব্যস্ততা ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন: ‘সুইট হার্ট’ ছবির গল্প আপনার পছন্দ হয়েছে?
উত্তর : গল্পটি সত্যিই ভালো লেগেছে। এই ছবিতে দর্শক আমাকে ভিন্নভাবে দেখতে পারবে।ছবির গল্পটি অনেক সিরিয়াস।
প্রশ্ন : গল্পে কি ট্র্যাজেডি আছে?
উত্তর : হ্যাঁ। ছবিতে গল্পের ভেতরই আরো অনেক গল্প আছে। তবে ছবির গল্প শেষ হবে ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে।
প্রশ্ন : বাপ্পীর সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগছে?
উত্তর : অনেক ভালো লাগছে কাজ করে। সহকর্মী হিসেবে বাপ্পী অসাধারণ।
প্রশ্ন : ৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুইট হার্ট’ ছবির গানের অংশবিশেষ ইউটিউবে দেওয়া হয়েছে। গানটির কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
উত্তর : অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি। এতটা সাড়া পাব প্রথমে ভাবতে পারিনি। গানটি গেয়েছেন হৃদয় খান। গানটির নির্মাণও অনেক আধুনিক।
প্রশ্ন : এমন কোনো স্বপ্নের চরিত্র আছে যেখানে আপনি অভিনয় করতে চান?
উত্তর : ‘ব্লাক’ ছবিতে রানি মুখার্জির অভিনয় আমার অনেক ভালো লেগেছে। কখনো সুযোগ হলে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাইব।
প্রশ্ন : গ্রামীণ ফোনের বিজ্ঞাপনে আপনি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন? বাস্তবে আপনি টমবয় টাইপ নাকি শান্তশিষ্ট?
উত্তর : টমবয়!(হাসি) টমবয় কখনোই না। আমি অনেক শান্তশিষ্ট।
প্রশ্ন : তাহলে টমবয়ের অভিনয় এত সহজে কীভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন?
উত্তর : আমাকে পরিচালক প্রথমে জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘মিম তুমি বাস্তবে কী রকম? আমি উত্তরে বলেছিলাম শান্ত। তখন তিনি আমাকে টমবয়ের চরিত্র্রটি ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। টমবয়ের চরিত্রও আমি অনেক উপভোগ করেছি।
প্রশ্ন : শুটিংয়ের অবসরে আপনি কী করতে পছন্দ করেন?
উত্তর : সাধারণত আমি স্ক্রিপ্ট পড়ি। ফেসবুকিং তো করা হয়ই।
প্রশ্ন : ফেসবুকে আপনার সেলফি অনেক বেশি। ফটোগ্রাফি কেমন লাগে?
উত্তর : আমি মোবাইল ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। একটু সুযোগ পেলেই সেলফি তুলি। তবে ক্যামেরা দিয়ে মনে হয় না এত ভালো ছবি তুলতে পারব! ছবি তোলা আমার শখ।
প্রশ্ন : যে ভুলটা বার বার শুধরাতে গিয়েও পারছেন না..
উত্তর : আমি অল্প সময়ের মধ্যে মানুষকে খুব কাছে টেনে নেই। বিষয়টা এ রকম, মানুষের সঙ্গে ভালোভাবে না মিশেই আমি আপন করে নেই। পরে সেই মানুষগুলো কোনো কারণে আমাকে কষ্ট দিলে, মন খুব খারাপ হয়। এ রকম ভুল আমি বহুবার করেছি।
প্রশ্ন : ইউটিউবে চ্যানেল করার চিন্তা কেন করলেন?
উত্তর : এখন যুগটাই প্রযুক্তি নির্ভর। তাই এ রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার দর্শকরা আমার ইউটিউব চ্যানেলে আমার ছবিসহ সব কিছুই দেখতে পাবেন। এটা আমার নিজের কাজেরই সংগ্রহ।
প্রশ্ন : ১০ বছর পর নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান?
উত্তর : অবশ্যই ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছাতে চাই। নিজেকে চলচ্চিত্রের সফল ও প্রতিষ্ঠিত অভিনয়শিল্পী হিসেবে দেখতে চাই।