‘বজরাঙ্গি ভাইজান’-এর পাঁচ অসংগতি
সালমান খানের নতুন ছবি ‘বজরাঙ্গি ভাইজান’ জয় করে নিয়েছে দর্শকদের হৃদয়। আর দর্শকদের হৃদয় জয় করা মানে বক্স অফিসেও জয়জয়কার। এরই মধ্যে শত কোটি রুপির ক্লাবে ঢুকে পড়েছে বজরাঙ্গি ভাইজান। বলা হচ্ছে সালমানের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় হিট ছবি হতে যাচ্ছে বজরাঙ্গি ভাইজান।
অথচ বলিউডে সালমানের ‘মাচোম্যান’ ইমেজের কিছুই নেই এখানে। ছবিতে সাদাসিধে এক লোক সালমান। আর এই ইমেজেই ভক্তদের ভালোবাসায় হয়ে উঠেছেন অসাধারণ। সবদিক থেকে নিখুঁত হলেও বজরাঙ্গি ভাইজান ছবির কিছু খুঁত খুঁজে বের করেছে কাল্ট নাটস ওয়েবসাইট। ছবিটির পাঁচটি ভুল বা অসঙ্গতির দিকে নজর দেওয়া যাক-
১. নারোয়াল পাহাড়ি কোনো স্টেশন নয়
বজরাঙ্গি ভাইজান ছবিতে দেখানো হয়েছে শাহিদা বা মুন্নির বাড়ি নারোয়াল পাহাড়ি স্টেশনের কাছে। কিন্তু বাস্তবে নারোয়ালে কোনো স্টেশন নেই।
২. পাকিস্তানি রুপি কোত্থেকে এলো?
ছবিতে সালমান খানকে কোথায় ভারতীয় রুপি পাল্টে পাকিস্তানি রুপি নিতে দেখা যায়নি। অথচ যখন সে পাকিস্তানের এক ধাবায় খাবার পর বিল দেয় তখন নিজের পকেট থেকেই রুপি বের করে দেয় এবং দোকানি সেটা নিয়েও নেয়। ধাবাওয়ালা কি ভারতীয় রুপিতেই সন্তুষ্ট থাকল তাহলে?
৩. কাকতালীয়ভাবে মুন্নির মাকে খুঁজে পাওয়া
ছবিতে হারিয়ে যাওয়া মুন্নির ঠিকানা বা তার মা-বাবাকে খুঁজে বের করার কোনো উপায়ই ছিল না। কারণ মুন্নি বোবা এবং সে সালমানকে কিছুই জানাতে পারে না। মুন্নির সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হয়েছে ইশারায়। শেষমেশ পাকিস্তান গিয়ে মুন্নির মায়ের সঙ্গে দেখা হওয়াটাকে দেখানো হয়েছে কাকতালীয় ব্যাপার হিসেবে। ব্যাপারটা এতটাই কাকতালীয় যে একই সময়ে একই মাজারে সবাই উপস্থিত হয়।
৪. নারোয়াল কাশ্মীরে নয়
নারোয়াল নিয়ে আরো একটা ভুল রয়েছে ছবিতে। যখন সাংবাদিক চান নওয়াব টিভিতে উপস্থিত হয়ে জানায় সে নারোয়াল সেক্টরে রয়েছে তখন বলা হয় এটি কাশ্মীরে। আসলে নারোয়াল অবস্থিত পাঞ্জাবে।
৫. একই লাইভ খেলা দুই সময়ে দেখা
ছবিতে বেশ মজার একটি ভুল রয়েছে। প্রথমে মুন্নি পাকিস্তানে বসে ২০১৪ সালের এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সরাসরি টিভিতে দেখছিল। ওই ম্যাচে শহীদ আফ্রিদি দুটি ছয় মেরে পাকিস্তানকে জেতান। মুন্নি যখন ভারতে চলে আসে তখন পবনের (সালমান খান) বাসায় বসে সেই একই ম্যাচ সরাসরি টিভিতে দেখছিল সে!