রবীন্দ্রচর্চার আগ্রহ গভীর হচ্ছে : মিতা হক

মিতা হক, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্পী ও শিক্ষক। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহসভাপতি তিনি। ছায়ানটে শেখাচ্ছেন বহুদিন ধরে। নিজের গানের স্কুল সুরতীর্থ পরিচালনা করছেন ২৫ বছর ধরে।
সংগীতে অনন্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিল্পকলা পদক, চ্যানেল আই আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। গত ২৭ জানুয়ারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কেন্দ্র করে সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র ও মননধর্মী সংগঠন ‘খামখেয়ালী সভা’র পক্ষ থেকে তাঁকে রবীন্দ্রগুণী সম্মাননা-২০১৮ দেওয়া হয়। সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা অডিটরিয়ামে কথা হয় এই গুণী শিল্পীর সঙ্গে।
আলাপচারিতায় উঠে আসে বর্তমান তরুণদের রবীন্দ্রভাবনা, রবীন্দ্রচর্চা নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা—এসব বিষয়।
এনটিভি অনলাইন : এবারের ‘খামখেয়ালী সভা’র রবীন্দ্রগুণী সম্মাননা পেয়েছেন, অনুভূতিটা কেমন?
মিতা হক : অনুভূতি খুব সুন্দর। ‘খামখেয়ালী সভা’র কাজকর্ম, বিষয়, গবেষণা, নতুন নতুন ছেলেমেয়েরা যারা আসে, তাদের রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যে জ্ঞাত করা হয় এটি প্রশংসনীয়। যারা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কাজ করছে তাদের সাধুবাদ জানাই। এদের পক্ষ থেকে রবীন্দ্রগুণী সম্মাননা পাওয়া খুব অন্য রকম বিষয়। তাই বিশেষভাবে আনন্দবোধ করছি।
এনটিভি অনলাইন : রবীন্দ্রনাথের গান বা রবীন্দ্র-ভাবনার বিষয়টি বর্তমান তরুণদের মধ্যে কেমন বলে মনে করেন?
মিতা হক : এটা যদি আমি অন্যান্য সংগীতের সঙ্গে তুলনা করে বলতে চাই তাহলে অন্য রকম। আসলে সামাজিক এমন একটি পরিবর্তন পৃথিবীজুড়ে হয়েছে, মূল্যবোধের পরিবর্তন হয়েছে যে এখানে রবীন্দ্রনাথের বিষয়ে আগ্রহ করে তোলার বিষয়টি কতটুকু দেখতে পাই সেটি ভাবনার বিষয়। এখন আকাশ-সংস্কৃতি রয়েছে। তবে এত কিছুর মধ্যেও রবীন্দ্রনাথের স্বচ্ছ একটি সৌন্দর্য রয়েছে। আলাদাভাবে একে বোঝা যায়। যেকোনো জায়গা, যেকোনো সংস্কৃতির মধ্যে যেন রবীন্দ্রনাথের মতো পরিশীলিত বচন, কর্ম, দর্শন প্রতিটি চিন্তাই তরুণদের মধ্যে উন্মোচিত হচ্ছে। রবীন্দ্রচর্চার আগ্রহ দিনে দিনে গভীর হচ্ছে।
এনটিভি অনলাইন : ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রসংগীতকে আরো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপনার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে কি?
মিতা হক : আমার পরিকল্পনা নতুন কিছু নয়। আমার পরিকল্পনা, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যারা কাজ করে তাদের সকলের সঙ্গে যুক্ত থাকব। আমার যতটুকু করার, আমার মেধা-মননের মাধ্যমে করব।
এনটিভি অনলাইন : ‘সুরতীর্থ’ নামে আপনার নিজস্ব একটি সংগঠন রয়েছে। সংগঠনটি সম্পর্কে কিছু বলুন…
মিতা হক : সুরতীর্থের প্রথম আত্মপ্রকাশ হয় ১৯৯৭ সালে। এই প্রতিষ্ঠান দিয়ে ভালো ভালো অনুষ্ঠান করতে চাই এবং চাই ভালো শিল্পী বেরিয়ে আসুক। রবীন্দ্রনাথের গানের দীক্ষায় দীক্ষিত হোক শিক্ষার্থীরা।