কেমন চলছে ‘ব্ল্যাকমেইল’?
২৮ আগস্ট শুক্রবার, সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে ‘ব্ল্যাকমেইল’। ৫০টিরও বেশি হলে চলছে ছবিটি, বেশ কিছু সিনেমা হলে গিয়ে দেখা যায় শুক্রবারের তুলনায় লোকসমাগম কম। অনন্য মামুন পরিচালিত ‘ব্ল্যাকমেইল’ ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, মৌসুমী হামিদ ও ববি। টঙ্গীর ‘আনার কলি’ সিনেমা হলের ম্যানেজার সাজু আহমেদ মনে করেন, তিন কারণে চলছে না ছবিটি।
সাজু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার চারটি শো চালিয়েছি। কিন্তু ফল ভালো না, ৩৫ বছর সিনেমা হলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছি। দর্শকদের মুখ দেখলেই বুঝি ছবি কেমন। ছবি দেখার সময় তাদের উল্লাস দেখেই বুঝি কেমন ব্যবসা করবে ছবি। এই ছবি দেখে দর্শক তেমন খুশি হচ্ছে না।’
কথায় কথায় সিনেমা হলের ম্যানেজার সাজু বললেন, তিন কারণে এই ছবি বেশিদিন চলবে না। একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করতে হলো কী সেই তিন কারণ। তিনি বললেন, “এক নম্বর কারণ হচ্ছে যারা আমাদের ছবি দেখে তারা ‘ব্ল্যাকমেইল’ আর ‘ব্লাকমানি’র মধ্যে পার্থক্য বোঝে না। তারা মনে করে একই ছবি আবারও চলছে।” এখানে বলে রাখা ভালো গত ১৪ আগস্ট, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ‘ব্ল্যাকমানি’ নামে একটি ছবি মুক্তি পায়। ‘ব্ল্যাকমানি’ ছবির সঙ্গে ওই নামের মিল দেখে অনেক দর্শকই মনে করছে এটি পুরোনো ছবি, এমনটাই বক্তব্য সাজুর।
সাজু এবার অন্য কারণগুলোর কথা বললেন, ‘দুই নম্বর কারণ, যারা ছবি দেখে তাদের হাতে টাকা নেই। মাসের শেষ, যে কারণে ছবি দেখার টাকা এই সময় থাকে না। আর তিন নম্বর কারণটা হচ্ছে যারা ছবি দেখতে আসেন, তারা ছবির গল্পটা ভালো চান। কিন্তু এটা তো ভারতের ‘গুন্ডে’ ছবির নকল। দর্শক দেখে হাসাহাসি করছে। তাদের মেকিংয়ের কাছে আমাদের মেকিং অনেক দুর্বল।’
সিনেমা শেষ করে বেরিয়ে আসছেন দর্শকরা। একজন দর্শককে দেখা গেল হাসাহাসি করছেন। তাকে প্রশ্ন করলাম, হাসছেন কেন? উত্তরে তিনি বলেন, “গতকালই হিন্দি ছবি ‘গুন্ডে’ দেখলাম। এই ছবি তো নকল। আমাদের পরিচালকের ছবি দেখে হাসি পাচ্ছে।”
ছবিটিতে গান রয়েছে মোট পাঁচটি। এসব গানে কণ্ঠে দিয়েছেন ইবরার টিপু, ইমরান, এলিটা, পড়শি, পূজা ও লেমিস। পরিচালক অনন্য মামুন জানিয়েছেন, সারা দেশে ৫০টিরও বেশি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এর মধ্যে ঢাকায় মুক্তি পেয়েছে ১৮টি সিনেমা হলে।