শেষ হচ্ছে ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ ছবির শুটিং
কায়েস আরজুর ওপর পরী মণির অনেক রাগ। আরজুকে শিক্ষা দিতে এর আগে সে গুণ্ডা ভাড়া করেছিল। সেবার বেশি সুবিধা করা যায়নি। তাই গত রাতে আরজুকে ডেকে এনে কুয়ায় ফেলে দেয় পরী। তাও আবার কানা বুড়ির বাড়িতে, যে বাড়িতে দিনের বেলায় মানুষ যেতে ভয় পায়, সেই বাড়ির পুরোনো কুয়ায়। এই কুয়ায় ফেলে অবশ্য নিজেই অনুশোচনায় ভুগছে পরী। এমনই এক দৃশ্যের শুটিং হলো গাজীপুরের হোতাপাড়ায়। ছবির নাম ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’।
ছবির পরিচালক শামীমুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘গ্রামের একজন চেয়ারম্যান ও নাপিতের ছেলের মধ্যে একধরনের শত্রুতা নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবিটির গল্প। ঠিক শত্রুতা বলা যাবে না, এখানে একটি ঘটনা রয়েছে। চেয়ারম্যান ত্রাণের সামগ্রী চুরি করেন আর ওই সামগ্রীই আবার চুরি করে আরজু এবং সে সেটা বিলিয়ে দেয় এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে। চেয়ারম্যান জানেন চুরি আরজু করছে, কিন্তু কোনো প্রমাণ নেই। গ্রাম্য সালিসে যখন প্রমাণ করতে চায়, তখন আরজু মোবাইল ফোনসেটে ভিডিও দেখায় যে, চেয়ারম্যানের মেয়ে টাকা চুরি করেছে। আসলে মেয়ে টাকা চুরি করেছিল সিনেমা দেখার জন্য। কৌশলে আরজু আসলে পরীকে দোষী সাজিয়ে দেয়। এখান থেকেই শুরু হয় পরী আর আরজুর যুদ্ধ। পরী অনেকভাবেই আরজুকে শাস্তি দিতে চায়। শুরু হয় শত্রুতা।’
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে পরী মণি বলেন, ‘ছবিতে আমি একজন চেয়ারম্যানের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। সেখানে আমি বাবার টাকা চুরি করে সিনেমা দেখি, আর সেটা সবাইকে বলে দেয় আরজু। এর জের ধরে তার সঙ্গে আমার শত্রুতা শুরু হয়। এর আগে আমি ছেলে সেজে আরজুকে শায়েস্তা করার চেষ্টা করি। গত রাতে তাকে কুয়ায় ফেলে দিয়ে এখন খুব অনুশোচনা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমার শত্রু নায়ক আরজুর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। এই ছবির গল্পটা একটু আলাদা, সবার খুব ভালো লাগবে।’
ওয়ান স্টার ইন্টারন্যাশনাল মুভিজের ব্যানারে, মোজাম্মেল হক খানের প্রযোজনায় ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ ছবিটির শেষ পর্যায়ের শুটিং শেষ হচ্ছে আজ। হোতাপাড়া ছাড়াও ছবিটির শুটিং পুবাইলের বিভিন্ন জায়গায় করা হয়েছে।
গাজীপুরে হোতাপাড়ার খতিব খামারবাড়িতে এই শুটিং হয়। আজ শুটিংয়ে অংশ নেন পরী মণি, আরজু ও মিশা সওদাগর। ছবিটিতে আরো অভিনয় করছেন আলীরাজ, রেবেকা, খলনায়ক ডন প্রমুখ।