গ্রামে গিয়ে ফের কৃষিকাজে নওয়াজউদ্দিন
অন্য রকমদের মধ্যেও ‘অন্য রকম’ তিনি! বলিউডের মাটিতে পা রেখেই তাঁর অভিনয় প্রতিভা দিয়ে যা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন। আজ তাঁকে যে যা-ই বলুক, আসলে লম্বা দৌড়ের ঘোড়া তিনি। অভিনয়শিল্প, ব্যক্তিগত ব্যবহার, নিজের জীবনযাত্রা—সবেতেই কিছুটা হলেও ব্যতিক্রমী বলিউডের এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। খ্যাতির ঘেরাটোপ তাঁকে যতই ঘিরে রাখুক, তিনি যে মাটির কাছাকাছি থাকতেই ভালোবাসেন, তা এবারে কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ করে দিলেন।
একটানা কাজের পর সম্প্রতি ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নওয়াজ, গ্রামের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের বুধানা গ্রামে। গাছ-গাছালির ছায়া ঢাকা এই গ্রামেই ১৯৭৪ সালের ১৯ মে জন্ম তাঁর। আর সেখানে গিয়েই তিনি যে মাটির মায়ের সন্তান, তা আরো একবার বুঝিয়ে দিলেন। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শুধু মজা করে ছুটি কাটানোর মানুষ তিনি নন। সেখানে তাঁকে পৈতৃক জমিতে মাটি কোপাতে, এমনকি ধুলো মেখে মাঠে জমি চাষ করতেও দেখা গেছে। ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই হতবাক হয়েছেন তাঁর ভক্তরা। যাঁরা নওয়াজউদ্দিনের মুখে বরাবর তিনি মাটির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসেন বলে কথা শুনে ভাবতেন, এসব হয়তো সেলিব্রেটি মাত্রই কথার কথা—আজ তাঁরা সংবাদমাধ্যমের দৌলতে চোখের ওপর তাঁকে মাঠে নেমে মাটি কোপাতে দেখে রীতিমতো বিস্ময়ে হাঁ হয়ে গেছেন।
যেখানে বলিউডের তারকারা ছুটি কাটাতে বেছে নেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিলাসবহুল ট্যুরিস্ট স্পট কিংবা ঝাঁ চকচকে শহরকে, সেখানে দাঁড়িয়ে বলিউডের এ মুহূর্তের অন্যতম ব্যস্ত এবং সফল অভিনেতার এভাবে ছুটি কাটানো সত্যিকার অর্থেই বিস্ময়ের। দীর্ঘদিন ধরে শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী বেশ কিছুদিন ধরেই ছুটি নিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়িতে মা ও ভাইয়ের কাছে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। অবশেষে গেলেনও সেখানে। আর সেখানে গিয়ে মাটির টান উপেক্ষা করতে পারলেন না তিনি।
জানা যায়, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর পরিবার বংশপরম্পরায় চাষবাস করতেন। আর বলিউডে আসার আগে নওয়াজউদ্দিন নিজেও ২০ বছর ধরে পরিবারের সহায়তায় সেই চাষবাসের কাজও করেছেন। আজ হঠাৎ করে সেলিব্রেটি হয়ে তিনি তাঁর জীবনের ফেলে আসা অতীতকে ভুলতে চাননি কখনো।