শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে চান এ আর রহমান
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/15/photo-1442306401.jpg)
মাত্র কয়েকদিন আগে তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছে ভারতের মুম্বাইয়ের সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠীর ‘রাজা অ্যাকাডেমি’। সেই ফতোয়ার উত্তরে শান্তির বার্তা দিলেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, ইরানের চলচ্চিত্রকার মাজিদ মাজিদির পরিচালনায় হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন নিয়ে তৈরি ‘মুহাম্মদ : মেসেঞ্জার অব গড’ ছবির সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তাঁর ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এ আর রহমান নিজেকে সংগীত সাধক মনে করেন। তাঁর ধারণা, এমনও তো হতে পারে, ধর্মগুরুদের মতে আল্লাহ শেষ বিচারের সময় তাঁকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, আমি তো তোমাকে সবই দিয়েছিলাম। তাহলে আমার নামে একটি ছবিতে কাজ করতে তুমি কেন অস্বীকার করলে? তখন আমি কি উত্তর দিতাম? এভাবেই নিজের ফেসবুক পোস্টে মুসলিম ধর্মগুরুদের জারি করা ফতোয়ার উত্তর সবিনয়ে দিয়েছেন এ আর রহমান।
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন নিয়ে তিন পর্বে ছবি তৈরি করেছেন ইরানের বিখ্যাত পরিচালক মাজিদ মাজিদি। নবীর জীবন নিয়ে ছবি করায় ভারতের একটি অংশের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন এই ছবির সঙ্গে যুক্ত কলা-কুশলীরা। অভিযোগ উঠেছে, নবীকে নিয়ে এই ধরনের ছবি করা শাস্ত্রবিরোধী। যে কারণে ভারতের মুম্বাইয়ের প্রধান মুফতি মুহাম্মদ আখতার এই ছবির সুরকার এ আর রহমান, পরিচালক মাজিদ মাজিদিসহ ছবির সঙ্গে যুক্ত সবার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন। এমনকি মুম্বাইয়ের সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠী ‘রাজা অ্যাকাডেমি’ মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে আবেদন করে, যেন ওই রাজ্যে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই এ আর রহমান তাঁর স্বভাবসুলভ বিনয়ের সঙ্গে যাবতীয় বিতর্কের উত্তর দিয়ে দিলেন। সেই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ইসলাম ধর্মের নামে নানা বিতর্ক দানা বাঁধাও উচিত নয়। কোনো ধর্মের নামেই এই ধরনের বিতর্ক গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মনে করেন তিনি।
এ আর রহমান জানান, আমরা এমন এক দেশে বাস করি, যেখানে নানা ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। ধর্মকেন্দ্রিক হিংসার কোনো স্থান নেই এ দেশে। রহমানের দাবি, তিনি একজন সাধারণ মুসলমান। ধর্মের অতশত ঘোরপ্যাঁচ তাঁর জানা নেই। শুধু সবার কাছে একটাই আবেদন রাখতে চান তিনি, তা হলো শান্তি বজায় রেখে মিলেমিশে থাকতে হবে। রহমানের কথায়, ধর্মের নামে হিংসা নয়, মানুষের কল্যাণে মহান নবী মুহাম্মদের (সা.) শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে।