দীপিকার ‘লাইভ, লাফ, লাভ’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/12/photo-1444621465.jpg)
বিষণ্নতার তথা ডিপ্রেশনের সঙ্গে দীপিকার লড়াই পুরোনো। বলিউডের চিরাচরিত রেওয়াজ অনুসরণ না করে সরাসরি যখন গণমাধ্যমের সামনে নিজের এই সমস্যার কথা অকপটে বলেছিলেন, তখনই বোঝা যাচ্ছিল তাঁর লড়াইটা লম্বা হতে যাচ্ছে। কদিন আগেই নিজের প্রতিষ্ঠান ‘লাইভ, লাফ, লাভ’ উদ্বোধনের সময় মানসিক চাপের সঙ্গে লড়াইয়ের বিষয়ে সচেতনতার কথা আবারো বলেছেন তিনি। এনডিটিভির খবরে জানা গেল, মুম্বাইয়ে একটি ইভেন্টের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে এই ফাউন্ডেশনের।
দীপিকার নিজস্ব উদ্যোগে এই ফাউন্ডেশন মূলত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবাদান করবে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফারনাবিস ফাউন্ডেশনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে দীপিকা বলেন, ‘মানসিক অসুস্থতাকে আমাদের গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মধ্যে। আমরা জানি যে অনেকেই অনেক চাপ ও হতাশার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করি। তবুও বাঁচতে হবে, কারণ বেঁচে থাকা, হাসা আর ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সবশেষে, এই তো জীবন!’
নিজের বিষয়ে বলতে গিয়ে দীপিকা আবারো টানেন আগের কথা, ‘আমার মতো মানুষের জন্য, যাঁরা ডিপ্রেশন আর উদ্বেগের সঙ্গে অনেক লম্বা সময় পার করেছে; তাঁদের বোঝা দরকার এবং জানা জরুরি যে তাঁদের জন্য আশা রয়েছে, ফুরিয়ে যায়নি এখনো।’ এ সময় নিজের পরিবার এবং কাছের মানুষকে সাহায্য আর ভালোবাসার কথা উল্লেখ করেন বলিউডের এই শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী।
দীপিকার মা উজ্জ্বলা পাড়ুকোন বলেন, ‘ওর (দীপিকা) মধ্যে অসুস্থতার ভাব দেখে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, এটা মনে হয় বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কোনো একটা সমস্যা। পরে বুঝলাম, সে মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তির কারণে ডিপ্রেশনের সমস্যায় ভুগছে। তখন আমরা তাকে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যাই।’ দীপিকার বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন যোগ করেন, ‘মেয়ের স্বাস্থ্য নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। আমরা সব সময়ই চেয়েছি, ও যেন ভালো থাকে।’
এ বছরের শেষের দিকে দীপিকার দুটি ছবি আসছে। একটি ইমতিয়াজ আলির ‘তামাশা’ এবং আরেকটি সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’।