মুখোমুখি
আমার সঙ্গে হাত মেলানোর সুযোগ পাবেন : নায়লা
নায়লা নাঈম এ সময়ের জনপ্রিয় একজন মডেল। এই মুহূর্তে ফটোশুট, মডেলিং, রেডিও উপস্থাপনার পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে কাজ করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। আগামী ১৬ অক্টোবর তন্ময় তানসেন পরিচালিত ‘রান আউট’ ছবিটি মুক্তি পাবে। নায়লা ভক্তদের জন্য সুখবর হলো তাঁরা নায়লাকে ছবিটিতে সজলের সঙ্গে একটি গানে দেখতে পাবেন। ছবি প্রচারের জন্য ইতিমধ্যে নায়লা কিছু পরিকল্পনাও করেছেন। সেসব পরিকল্পনা ও অন্যন্য প্রসঙ্গে নায়লা নাঈম কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে। নায়লার ভাষ্যে এটাই তাঁর মুখোমুখি দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকার। এর আগে তিনি সব সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইমেইলে।
‘রান আউট’ নিয়ে পরিকল্পনা
আমাকে ছবিটিতে দর্শক একটি গানে দেখতে পাবেন। আমি ১৬, ১৭, ১৮ এই তিনদিন ছবির প্রচারণায় অংশ নেব। ১৬ তারিখ ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকায় যে কয়টা হলে ‘রান আউট’ চলবে আমি সেই হলগুলোতে যাব। আমার ফ্যান ও ফলোয়াররা যাঁরা ছবিটি দেখতে যাবেন তাঁরা প্রত্যেকেই আমার সঙ্গে হাত মেলানোর সুযোগ পাবেন। আমি সশরীরে উপস্থিত থাকব। ম্যাজেন্ডা কালারের একটা গাউন পরব বলে ঠিক করেছি।
‘রান আউট’ নিয়ে প্রত্যাশা
ছবির ট্রেলার ইতিমধ্যে বের হয়ে গেছে। ইউটিউবে আমাদের গানটির দর্শক দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। প্রত্যাশা ভালোই। ছবি ও ছবির গানের মান আমি বলব অসাধারণ হয়েছে। তন্ময় তানসেনের ছবির ফ্রেম আসলেই দারুণ।
চলচ্চিত্রে আপনার নায়িকা না হওয়ার কারণ
অনেক কারণই আছে। প্রথম কারণ হলো একটা ভালো মানের ছবিতে আমি যদি কাজ করতে যাই তাহলে আমাকে একটানা ৩০ অথবা ৩৫ দিন সময় দিতে হবে। ওই ধরনের ছবির কাজের প্রস্তাব এখনো আমি পাইনি। দ্বিতীয়ত, আমি দন্ত চিকিৎসক। এই পেশার পাশাপাশি মিডিয়ায় আমি কাজ করছি। আমার পক্ষে চলচ্চিত্রের জন্য দেশ ও দেশের বাইরে গিয়ে একটানা কাজ করা এখন অসম্ভব। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব কিন্তু আমার কাছে নিয়মিত আসছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যদি ঢাকার ভেতরে ছোট ছোট লটে টানা পাঁচদিন কাজ করার সুযোগ হয় তাহলে আমি চলচ্চিত্রে কাজ করব।
প্রশংসা ও সমালোচনা কীভাবে আপনি দেখেন
আমি সব সময়ই একটা কথা বলি— তা হলো, ‘হেটারস আর মাই ট্রু লাভার’। যাঁরা আমার সমালোচনা করছেন তাঁরা আমার ১০টা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। আমি সেসব দিক ভালোভাবে বোঝার ও শেখার এবং নিজেকে আত্মশুদ্ধি করার চেষ্টা করি । আর কিছু মানুষ সব সময় আমার প্রশাংসা করেন। তবে সমালোচনাটাকে আমি বেশি গুরুত্ব দেই। কারণ সমালোচনা থেকে আত্মশুদ্ধির ব্যাপার আসে। আমার কাজের উন্নতির জন্য সমালোচনা শোনাও আমার জরুরি।
রোগীরা যখন ভক্ত
এ রকম অনেক ঘটনা আছে। অনেকে পারলে নিজের দাঁত ভেঙে আমার কাছে আসে, হা....হা। তবে আমি অবাক হই যখন আমার রোগীরা সুস্থ হয়েই সর্বপ্রথম যে কথাটি বলে তা হলো, ‘আপনার সঙ্গে একটা সেলফি তুলতে চাই’। হয়তো সেই রোগী আমাকে মডেল হিসেবে জানে, এটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। কারণ চিকিৎসা চলার সময় সে কোনো কথাই বলেনি। যাইহোক, একটা কথা সম সময় বলি, আমার প্রতিটি কাজের ব্যাপারে আমি অনেক আন্তরিক। আল্লাহর রহমতে আমি ভাগ্যবানও বটে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আমি ১৫ দিনের বেশি কাজের পরিকল্পনা করি না। যেদিন আমার শুটিং থাকে না, সেদিন আমি চিকিৎসা ও সার্জারির কাজে সময় দেই। আমার চরিত্র আসলে দুই রকম। যখন আমি মডেল তখন সবার কাছে আমি ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ডের কেউ একজন। আবার যখন আমি চিকিৎসক তখন আমি শুধুই চিকিৎসক নায়লা নাঈম।