মাঝে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তার পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। পূজাতে সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন টলিউডের সেলেবরাও। বিশেষ করে টলিউডের টিনএজ সেলেবদের তো পূজাকে ঘিরে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে সাজসাজ রব। পূজার কটা দিন টলিউডের সেলেবরা কে কীভাবে সাজগোজ করবেন, কী খাওয়াদাওয়া করবেন, কোথায় ঘুরবেন—তা নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে নানা প্ল্যান-প্রোগ্রাম। টলিপাড়ায় কান পেতে সেসব সেলেবের পূজা পরিকল্পনার কিছু ঝলক নিয়ে এই প্রতিবেদন।

মনামী ঘোষ : পূজার সময় ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখতে একদম ভালো লাগে না টলিউড এই অভিনেত্রীর। তবে পূজায় মনামীর ফ্যামিলি গেট টুগেদার মাস্ট। বললেন, ‘পূজার সময় বাড়িতে দারুণ সব রান্নাবান্না হবে। এটাই বাড়ির রেওয়াজ। আর দশমীর দিন তো বাড়িতে নিমকি, ঘুঘনি, নারকেল নাড়ু আর বেশ কয়েক পদের ছাঁচের মিষ্টি হবেই। তবে পূজার সময় সব সময়ই চাই কলকাতায় থাকতে। এ বছরও আপাতত ঠিক আছে কলকাতাতেই থাকছি। আগে ছোটবেলায় পূজার সময় অনেক জামা হতো। তা ধরুন, গোটা ২৫ তো বটেই। সারা দিন পাল্টে পাল্টে জামা পরতাম। এখন অবশ্য নিজেই অনেক কিছু কেনাকাটা করি। পূজায় শাড়ি পরতেই ভালোবাসি। একটা সময় ছিল, পূজার সময় পাড়ার ছেলেরা পেছন পেছন ঘুরত। এখন আর সেটা হয় না। সেলিব্রেটি তকমা জুটে গেছে। ফলে পূজায় সেই দিনগুলো এখন খুব মিস করি।’   

পার্নো মিত্র : পূজার আগে তাঁর ছবি ‘রাজকাহিনী’ মুক্তি পাচ্ছে। ফলে ছবি রিলিজ নিয়ে একটু-আধটু ব্যস্ত থাকবেন তিনি। তবে ব্যস্ততা যা-ই থাকুক না কেন, পূজায় সাজগোজ ছাড়তে রাজি নন তিনি। বললেন, সারা বছরেই নানা ধরনের কেনাকাটি করি। সেসব কেনাকাটার যেগুলো এখনো পরা হয়নি, সেগুলো পূজায় পরব। বিশেষ করে শাড়ি তো পরবই। পূজায় শাড়ি পরার আনন্দই আলাদা। পূজার চার দিন শাড়িতেই সাজতে চান পার্নো। আর শাড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেকআপটা কিন্তু তাঁর চাই-ই চাই। তবে সনাতনী শাড়ির ক্ষেত্রে এক ধরনের মেকআপ, আবার স্টাইলিশ শাড়ির ক্ষেত্রে অন্য ধরনের মেকআপ করতে চান তিনি। সে সঙ্গে আধুনিক জুয়েলারি তো পরবেনই।

পাওলি দাম : পূজায় শাড়ির সাজেই সাজতে চান পাওলি। পূজায় এরই মধ্যে অনেক শাড়ি জমা হয়েছে পাওলির। বেশির ভাগ শাড়িই অবশ্য রানী রঙের। কোন দিন কোন শাড়িটা পরবেন, তা নিয়েই এখন থেকে মহাচিন্তায় পাওলি। তবে অনেক ভেবেচিন্তে জানিয়েছেন, মুডের ওপর নির্ভর করছে কোন দিন কোন শাড়ি পরবেন। পূজার সময় পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে নিছক গল্প আর আড্ডায় সময় কাটাতে চান তিনি।

পায়েল সরকার : পূজার সময় গর্জিয়াস থাকতে চান টলিউডের এই অভিনেত্রীও। পূজার সময় ওয়েস্টার্ন লুক একেবারেই নয়, বরং বাঙালিয়ানাকে প্রাধান্য দিতে চান তিনি। তবে আবহাওয়া বুঝে পোশাক বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। লহেঙ্গা, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ সবকিছুই চলতে পারে। তবে সে সঙ্গে হেভি জুয়ালারি মাস্ট। সঙ্গে কানে দুল আর গলায় একটা হার তো রাখবেনই রাখবেন পায়েল।

মুমতাজ সরকার : পূজায় সাবেকিয়ানা ধরে রাখতে চান মুমতাজ। সারা বছর ধরেই তো সিনেমায় আর বাস্তবে টপ, জিন্স পরেই কাটিয়ে দেন। তাই পূজায় একেবারে শাড়ি পরেই ঘুরতে চান। মুমতাজের মতে, ট্রেন্ড যাই আসুক, শাড়ি সব সময় ফ্যাশনেবল। যে কারণে পূজার কটা দিন একেক রকমের, একেক ডিজাইনের শাড়ি পরতে চান তিনি। সে সঙ্গে পূজার সময় শাড়ি পরার স্টাইলও আলাদাভাবে করবেন বলেই জানালেন।

কৌশানি : ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ ছবির এই হিরোইন পূজায় শুধু অষ্টমীর দিন শাড়ি পরতে চান। এ ছাড়া কুর্তি, টপ, ম্যাক্সি স্কার্ট পরে ফুরফুরে মেজাজে পূজা কাটাতে চান কৌশানি। আগে যেহেতু কৌশানিদের বাড়িতে দুর্গাপূজা হতো, তাই পূজায় পরিবারের সবাই একসঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠার রেওয়াজ এখনো রয়েছে পুরোদমে।

অবন্তিকা : পূজা মানে খাওয়া-দাওয়া, দেদার আড্ডা আর হরেক পোশাকে ঘুরে বেড়ানো। এবার পূজায় ট্রেন্ডি সব তাক-লাগানো পোশাক-আশাক পরতে চান অবন্তিকা। জিন্স আর টপ পরতেই বেশি ভালোবাসেন। তাই পূজা স্পেশাল জিন্স আর টপ কিনেও ফেলেছেন। তবে অষ্টমীর দিন সকালে চুড়িদার এবং রাতে শাড়ি পরতে চান তিনি। নবমী আর দশমীর জন্য ফ্রক। সে সঙ্গে মানানসই অলংকার পরে অবশ্যই সাজতে চান তিনি।