এর আগে আমি পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি: বাঁধন

Looks like you've blocked notifications!
সিনেমাটির পোস্টার ও বাঁধন। ছবি  ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর পর দেশের কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনকে। তবে সেই বিরতি ঘুচতে যাচ্ছে এবার।

সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হলেন সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হতে যাওয়া ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ সিনেমায়। এতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে এই তারকাকে।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বনানীর একটি রেস্টুরেন্টে সিনেমার নাম ঘোষণা ও লোগো উন্মোচন করা হয়। সেখানে সিনেমা প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘সিনেমার নাম পড়েই বোঝা যাচ্ছে যে এটি একটি খুনের গল্প। তবে এর পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। গল্প নিয়ে এর বেশি কিছু বলব না। ছবিটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি, যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারি। শুটিং শেষ করে, মুক্তির আগে বাকি সব অনুভূতি জানাব।’

বাঁধন চলতি সময়ে নারীপ্রধান চরিত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এই সিনেমাতেও তেমনটা হতে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমি পরিচালককে সব সময় বলেছি যে আপনি কেন সবসময় কোনো পুলিশ হিসেবে ছেলেকে দেখেন? কোনো নারীকে কেন ইনভেস্টিগেটিভ অফিসার হিসেবে দেখেন না? সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী আর পুলিশে অনেক নারী কর্মচারী–কর্মকর্তা আছেন। তাদেরও তো চরিত্র আছে। আছে গল্প। সে রকম জায়গা থেকে পরে ভাইয়া এই গল্প ঠিক করেন। এর আগে আমি পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি। এটা আমার জন্য নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে। তাই কাজ করার আগে মন্তব্য করতে চাই না।’

সংবাদ সম্মেলনে সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ‘অ্যাকশন থেকে বের হয়ে এবার খুনের রহস্যে ঢুকে গেলাম। ২০০৯ সালে ঘটে যাওয়া এই কেসের তদন্তে আমি নিজে যুক্ত ছিলাম। সেটা নিয়ে সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মুক্তির পরপরই।’ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবির শুটিং শুরু হবে। মুক্তি পাবে আগামী বছরের রোজার ঈদে।

সিনেমাটিতে বাঁধন ছাড়াও আরো অভিনয় করবেন মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত সেনগুপ্তসহ অনেকে।