অকালেই চুলে পাক ধরার কারণ জানেন?

Looks like you've blocked notifications!

বয়স বাড়লে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই চুলে পাক ধরে। আবার অনেকেই শখ করে চুলে সাদা আবহ নিয়ে আসেন। এসবই নিয়মিত ঘটনা। তবে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক। আর এমনটি ঘটলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া অমূলক নয়। অনেকেই কম বয়সে চুল পাক ধরার কারণ অনুসন্ধান করে থাকেন। আর তাঁদের জানার কৌতূহল মেটাতে এবার এগিয়ে এলেন গবেষকেরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, মানসিক চাপের কারণেই মাথাভর্তি কালো চুল সাদা হয়ে যেতে পারে, এমনটিই মনে করছেন গবেষকেরা। 

ব্রাজিলের সাও পাওলো ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক চুল পাকার রহস্য উদ্ধারে ইঁদুরের ওপর দীর্ঘদিন পরীক্ষা চালান। আর এতে উঠে এসেছে ওই তথ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, ইঁদুরকে ব্যথা দিলে ত্বক ও চুলের রং নিয়ন্ত্রণকারী স্টেমসেল নষ্ট হয়ে যায়। শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে। হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়, স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং তীব্র মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এতে চুল বা লোমের রঞ্জকগুটিকায় থাকা স্টেমসেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব স্টেমসেল ম্যালানিন তৈরি করে। ফলে কালো বর্ণের ইঁদুরগুলো কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সাদা হয়ে যায়।

গবেষকদের মতে, চুল পাকার সঙ্গে ম্যালানোসাইট স্টেমসেলের সম্পর্ক রয়েছে। এই স্টেমসেল থেকে উৎপাদিত হয় চুল ও ত্বকের রং নির্ধারণকারী রঞ্জক ম্যালানিন। গবেষণার ফলাফল দেখে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে যান গবেষকেরা। তাঁরা দেখেন, মানসিক চাপের সময় অতিমাত্রায় হরমোন নিঃসরণই অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক প্রফেসর ইয়া চিয়ে সু বলেন, ‘আমরা এখন নিশ্চিতভাবে জানি ত্বক ও চুলের ওই নির্দিষ্ট পরিবর্তনের জন্য মানসিক চাপ দায়ী। এটিও জানি কীভাবে তা কাজ করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মানসিক চাপ শুধু শরীরের জন্য খারাপ, তা নয়। এই চাপে রঞ্জক পুনরুৎপাদনকারী স্টেমসেল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং চুল একবার পাকলে যতই চেষ্টা করা হোক, চুল পাকা বন্ধ করা যায় না।’