খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৫ উপায়

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- ফ্রিপিক

খুশকি মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি এবং চুলকানি সৃষ্টি করে। এটি অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলতে পারে। খুশকি মাথার ত্বক শুষ্ক করে তুলে। যা চুলের জন্য অস্বাস্থ্যকর। স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর খাবার, দূষণ বিভিন্ন কারণে খুশকি হতে পারে। জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা

খুশকি লোমকূপের গোড়ার চারপাশে ম্যালাসেজিয়া নামক খামিরের কারণে সৃষ্ট হয়। এই ছত্রাক মাথার ত্বকের সিবামকে খেয়ে ফেলে। মাথার ত্বক অপরিষ্কার থাকলে এটি ছত্রাকের খাবারের জায়গা হয়ে যায়। যার ফলে খুশকি দেখা দেয়। এ জন্য, কেটোকোনাজল বা জিঙ্ক পাইরিথিওন বা সেলেনিয়াম সালফাইড বা পিরোকটোন ওলামাইন সহ শ্যাম্পু বাছাই করুন। কমপক্ষে ৫-১০ মিনিটের জন্য এই শ্যাম্পু মাথার ত্বকে রেখে দিন। তারপরে ভালভাবে পরিষ্কার করুন। অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। খুশকি নিয়ন্ত্রিত হলে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া

ফাস্ট ফুড, চিনি এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবার খুশকি বাড়াতে পারে। অন্যদিকে, ভিটামিন বি, জিঙ্ক, প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারগুলি খুশকি প্রতিরোধ করে। ডিম, বাদাম, লেবু, কলা, চর্বিযুক্ত মাছ এবং দই মাথার ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে।  এসব খাবার মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখার চেষ্টা করুন।

তেল দেওয়া

এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, চুলে তেল লাগালে খুশকি কমে না। বরং চুলে তেল দিলে খুশকি আরও বেড়ে যাবে। কারণ এটি মাথার ত্বকে ছত্রাক জন্ম দেয়। তাই খুশকি থাকলে চুলে তেল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

চুলের স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার

চুলে অতিরিক্ত ক্যামিকেল জাতীয় পণ্য ব্যবহার করবেন না। হেয়ার স্প্রে, জেল অথবা অন্যান্য স্টাইলিং পণ্যগুলি খুশকির কারণ হতে পারে। তাই এসব পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে দিন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন নিন।

স্ট্রেস মুক্ত থাকুন

স্ট্রেস খুশকির একটি কারণ হতে পারে। মানসিক চাপে থাকলে শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ বেড়ে যায়। এগুলো খুশকি বাড়িয়ে তোলে। স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং মেডিটেশনে নিজেকে নিযুক্ত করুন।

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস