গরমে ত্বকের জন্য শসার ৪ ব্যবহার

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- ফ্রিপিক

গ্রীষ্মকালে ত্বকের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। এ সময় ত্বকে ট্যান, ব্রণ ও জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। বাইরের ভয়ানক তাপ ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। এ সময় ত্বককে ঠাণ্ডা রাখতে শশা বেশ কার্যকর। এটি এমন একটি সবজি যা ত্বককে শুধুমাত্র তাপ থেকে স্বস্তি দেবে না। বরং প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভাল করে রাখবে। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জন্য শসার টুকরো বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। শসাতে ভিটামিন সি এবং ক্যাফেইক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা অন্ত্রে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। একই সাথে ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে।

শসার রস

শশা কুচি করে রস বের করে নিন। এরপর এই রস অ্যালোভেরা বা গ্রিন টির সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগান। গ্রীষ্মের গরমে সতেজ এবং সজীব রাখতে এটি বেশ ভাল ফল দেবে।

হাইড্রেটিং শসার মাস্ক

শসাতে ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। তাই এটিকে অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করা যেতে পারে। যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার পাশাপাশি প্রশান্তি দেবে। শসা, মধু এবং দই একসাথে মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করুন। এটি ত্বককে হাইড্রেটিং করবে।

শসা এবং অ্যালোভেরা মাস্ক

শসার পিউরি নিন এবং এতে দুই চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি আপনার মুখে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবার ১০-১৫ মিনিটের জন্য থাকতে দিন। তারপর এটি ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার মুখে লাগান।

শসা টোনার

শশা টুকরো করে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে একটি প্যানে রাখুন। এবার এগুলো কম আঁচে প্রায় ৫-৭ মিনিট গরম করুন। চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। এবার এটি ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। শশার পানিটি একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করুন। এবার এতে এক চা চামচ গোলাপ জল যোগ করুন। এটি টোনার হিসেবে ৩-৪ দিন ব্যবহার করতে পারবেন।

শশা ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায়। ত্বক থেকে টক্সিন অপসারণ করতে সহায়তা করে। গরমকালে ত্বকের যত্নে শসা অন্যতম উপাদান।

সূত্র- বোল্ডস্কাই