পিঠের ব্রণ দূর করার ৭ উপায়

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি

জীবনে অন্তত একবার আমরা ব্রণের মুখোমুখি হই। এটি শুধু মুখেই সীমাবদ্ধ থাকে না। পিঠেও ব্রণ হয় আর তা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। শুধু তা-ই নয়, পিঠের ব্রণ ঘুম, ব্যায়াম ও পোশাক পরার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
 
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্বকে উৎপাদিত অতিরিক্ত তেল, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণসহ নানা কারণে পিঠে ব্রণ হতে পারে। অবশ্য পরিবেশগত কারণেও হতে পারে, যেমন—ময়লা ও দূষণ। এ ছাড়া মানসিক চাপ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেও ব্রণ হয়।
 
আসুন, আমরা ঘরোয়া উপায়ে পিঠের ব্রণ দূর করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জেনে নিই—
 
মধু ও দারুচিনি গুঁড়ো
মধু ও দারুচিনি দুটোতেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বককে ফ্রি রেডিক্যালস থেকে মুক্ত রাখে। এ দুই উপাদান ত্বকের প্রদাহ ও জ্বালা কমায়। চার টেবিলচামচ মধু ও দুই টেবিলচামচ দারুচিনি পাউডার নিন। একটি পাত্রে এ দুটি উপাদান ভালোভাবে মেশান। তারপর ব্রণের ওপর লাগান। এবার মিশ্রণটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকনো হয়ে এলে আলতোভাবে তুলে ফেলুন। কয়েক দিন নিয়মিত এটি করলে ব্রণ দূর হবে।
 
অ্যালোভেরা
ব্রণ থেকে সুরক্ষায় অ্যালোভেরার জেলের জুড়ি নেই। তাজা অ্যালোভেরা নিন। তা থেকে জেল বের করে একটি পাত্রে রাখুন। ব্রণস্থলে এবার জেল লাগান। দিনে কয়েক বার অ্যালোভেরার জেল লাগালে ব্রণ কমে আসবে।
 
লেবুর রস
সেবামের উৎপাদন কমিয়ে ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে লেবুর রস। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ প্রতিরোধে কার্যকর। একটি পাত্রে লেবুর রস নিন। তাতে কটন বল ডুবিয়ে সেটি ব্রণস্থলে রাখুন। কটন বলটি ৩০ মিনিট রেখে দিন। একদিন পরপর এটি করুন। ভালো ফল মিলবে।
 
চিনি ও নারকেল তেল
চিনি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে, ময়লা দূর করে এবং ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে। এভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে চিনি। আর নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বকের স্ফীতি রোধ করে। আধা কাপ চিনি ও আধা কাপ নারকেল তেল নিন। একটি পাত্রে এ দুটি উপাদান মেশান। এবার মিশ্রণটি আপনার পিঠে কয়েক মিনিট লাগান। কারও সাহায্যে এটি করলে ভালো। এরপর গোসল সেরে নিন। একদিন পরপর এটি করলে দ্রুত ফল মিলবে।
 
দই
দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দারুণ কার্যকর। পরিমাণমতো দই নিন এবং ব্রণস্থলে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার আলতোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু-তিন বার এটি করলে প্রত্যাশিত ফল পাবেন।
 
গ্রিন টি

শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ছাড়াও গ্রিন টি ত্বকের সেবাম উৎপাদন কমায় এবং ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এক কাপ গ্রিন টি বানান। ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার সেখানে কটন বল ডোবান। ভেজা কটন বলটি ব্রণস্থলে রাখুন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন, পরে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে তিন-চার বার এটি করলে ভালো ফল মিলবে।
 
রসুন
রসুনে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ ও ব্যথা দূর করে। কয়েক কোয়া রসুন নিন। এবার রসুনের কোয়া পিষুন। এরপর তা ব্রণস্থলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে আলতোভাবে তুলে ফেলুন। প্রতিদিন এটি করুন। ব্রণ কমে আসবে।