বেড়াতে গেলে কোন ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন?

Looks like you've blocked notifications!

কোথাও ঘুরতে বেরোলে অনেকেই ব্যাগে সানস্ক্রিন নিতে ভোলেন না। রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষার জন্য সানস্ক্রিনের জুড়ি নেই। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে এ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রেজা বিন জায়েদ। তিনি বলেন, সানস্ক্রিনের উপকারিতা আছে এবং সানস্ক্রিন এ জন্যই গ্রহণযোগ্য যে সারা পৃথিবীতে সানস্ক্রিন ওভার দ্য কাউন্টার, মানে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লাগে না। সানস্ক্রিনে একটা জিনিস লেখা থাকে, তা হলো এসপিএফ বা সান প্রোটেকটিং ফ্যাকটর। এসপিএফ ৩০ থেকে, এমনকি হানড্রেড পারসেন্টও পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ৩০ থেকে ৬০ পারসেন্ট পর্যন্ত এসপিএফ আছে এবং এই এসপিএফ সানস্ক্রিন যেকোনোটাই ভালো হবে। লেখা দেখতে হবে এই সানস্ক্রিনের তৈলাক্ত ভাবটা কেমন হয়। এটা যদি নন-অয়েলি বেইজ হয়, মানে অয়েল-ফ্রি বেইজ হয়, তাহলে ভালো। অয়েল-ফ্রি ও ওয়াটার বেইজ সানস্ক্রিন অত্যন্ত ভালো। কেননা, কোথাও বেড়াতে গেলে রোদে পুড়ে যাওয়া প্রায় সময় হয়। বেড়াতে যাওয়া মানে অনেক ক্ষণ বাইরে থাকতে হবে এবং আনন্দ-ভ্রমণের সময় প্রায়ই সময়ই কালো হয়ে ফেরে বাসায়। এটা হবে না যদি এ ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। এক কথায়, ৩০-এর ওপরে এবং ৬০-এর ভেতরে যেকোনো এসপিএফ স্ট্রেন্থের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে। অয়েল-ফ্রি সানস্ক্রিন হতে হবে।

আর কোথায় লাগাতে হবে? যেখানে সূর্যের আলো এক্সপোজড হয়। মুখে, হাতে এবং পিঠে। এই না যে সারা শরীরে দিতে হবে। ঢাকা না থাকে এমন যেকোনো জায়গায় সানস্ক্রিন দেওয়া যায়। কত বার? এক বারই কিন্তু। কারণ, অনেকে মনে করে সকালে দিয়ে বের হলাম, বিকেলে কাভার হবে না, আরেক বার দিই। তা না কিন্তু। সানস্ক্রিন ত্বকের ভেতরে চলে যায় এবং অ্যাকটিভিটি শুরু করে দেয় মাত্র দেড় ঘণ্টার ভেতরে এবং এটা স্থায়ী থাকে ২৪ ঘণ্টা। সুতরাং, আপনি একবার দিয়ে ফেললে গোসল করেন, পানিতে যান, এটা-সেটা যা করেন, আপনার কোনো অসুবিধা নেই, সানস্ক্রিন কাজ করবে।