যে ৩টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি মানসিকভাবে ইমম্যাচিউর

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি টুইটার থেকে নেওয়া

মানুষ কি আপনার সাথে গুরুতর বিষয় নিয়ে আলাপ করা এড়িয়ে চলে? এর কারণ হতে পারে লোকেরা তাদের অনুভূতিগুলি আপনার সাথে ভাগ করে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। সম্ভবত, সংবেদনশীল বা সমালোচনামূলক পরিস্থিতিতে আপনি যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান তা হয়ত অন্যের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনার ইমোশনাল ম্যাচিউরিটি কম।

‘ইমোশনাল ম্যাচিউরিটি’ বা আবেগীয় পরিপক্বতা মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্ম। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে এমন ৩টি লক্ষণের কথা যেটায় বুঝবেন আপনি মানসিকভাবে ইমম্যাচিউর কি না সেটা।

অন্যকে আপনার পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বলা

আপনি কি অন্য কাউকে দিয়ে কোনো না কোনোভাবে আপনার যেকোন কাজ; যেমন : অফিসের বা ব্যক্তিগত কাজগুলো করিয়ে নিচ্ছেন? এর মানে হল আপনি অন্য কাউকে দিয়ে আপনার দায়িত্ব সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছেন। যদিও একবার বা দুইবার হলে ঠিক আছে কিন্তু তা যদি হয় বারবার সেটি কিন্তু একটি নেতিবাচক দিক হয়ে উঠতে পারে। আপনি আপনার মানসিক বোঝা, দায়িত্ব, পরিস্থিতি এবং অনুভূতিগুলিকে অন্য কারো উপর চাপিয়ে না দিয়ে একাই মোকাবেলা করুন। মানসিকভাবে কম পরিপক্ক ব্যক্তিই সবসময় অন্যের ঘাড়ে নিজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন। আপনাকে চিন্তা ও কর্ম সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

আপনি অন্যদের মন খারাপের কারণ

আপনার সাথে কেউ হয়তবা তার কোনো গোপন কথা বা বিপদের কথা শেয়ার করলো আর আপনি তার সমাধান না দিয়ে বরং খুব সূক্ষ্ম উপায়ে তা নিয়ে উপহাস করলেন, তখন এটি একটি মারাত্মক বিরক্তিকর কারণ হয়ে উঠতে পারে আপনার আশেপাশে থাকা সবার জন্য।  লোকেরা

আপনা আপনিই আপনার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেবে। কারণ আপনার এই হাসি-তামাশা বা ঠাট্টা হয়ে উঠতে পারে অন্য কারো হীনমন্যতার কারণ। মানসিকভাবে পরিপক্ব একজন ব্যক্তি সব বিষয়ে সমাধান দিতে না পারলেও বিপদের সময় ধৈর্য্য ধরার অনুভূতি দিতে পারেন।

আপনি প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেন

যখন কেউ আপনার কাছে তাদের আবেগ প্রকাশ করার চেষ্টা করে, তখন অনেক সময় তারা পরামর্শ নাও চাইতে পারে। অনেকেই চান একজন ভালো শ্রোতা যে কিনা তার কথাগুলো শুনবেন। অনেক সময় অ-মৌখিক ভাষা হয়ে উঠতে পারে দৃঢ় যোগাযোগের অংশ। কিন্তু আপনি না শুনে যদি সর্বদা অন্যের উপর আপনার পরামর্শ চাপিয়ে দেন, এমনকি তারা না চাইলেও পরামর্শ দিয়েই যান তাহলে অনেকেই আপনার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিতে পারে। যদি কেউ চিন্তিত হয়, তবে পরামর্শের জন্য নয়, সান্ত্বনার জন্য আপনাকে তাদের পাশে প্রয়োজন।