ঈদবাজার

ঈদের কেনাকাটায় গাউছিয়া ও চাঁদনী চক

Looks like you've blocked notifications!
চলছে জমজমাট ঈদের কেনাকাট। ছবি : তৌহিদুল ইসলাম তুষার

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে এখন থেকে শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়। তা নিজ চোখে দেখতে হলে যেতে হবে ঢাকার বিপণিবিতানগুলোতে, বিশেষ করে গাউছিয়া ও চাঁদনী চক এলাকায়। কারণ, মেয়েদের প্রয়োজনীয় সবকিছুই পাওয়া যায় এখানে। তা ছাড়া এখন যেহেতু ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দর্জিবাড়িগুলো, তাই পছন্দসই কাপড় বানাতে অর্ডারটা এখনই দেওয়া চাই। আর গজ কাপড়, আনস্টিচ পোশাকের দারুণ সব সম্ভার এ দুটি বড় বাজারে।

ঢাকাবাসীর সুবিধার্থে সব এলাকাতেই গড়ে উঠেছে স্বয়ংসম্পূর্ণ শপিংমল। কিন্তু গাউছিয়া ও চাঁদনী চকের চাহিদা কমেনি এতটুকু। রোজার শুরু থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে নিউমার্কেটের উল্টো দিকে অবস্থিত এই দুই মার্কেটে।

সব শ্রেণির ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পোশাক রয়েছে এখানে। গজ কাপড়, তৈরি পোশাক, মানানসই জুতা-স্যান্ডেল, ব্যাগ, গহনা সবই পাওয়া যাবে এখানে। আর মেয়েদের সালোয়ার-কামিজের সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার হলো এই মার্কেটগুলোই। 


দেশীয় এবং ইন্ডিয়ান কাপড়ের ওপর নিত্যনতুন সব ডিজাইনের গজ কাপড় এবং থ্রিপিস, শাড়ি, জুতা, লেডিস ব্যাগ, ছোটদের পোশাক, প্রসাধনী, চুলের ব্যান্ড, জুয়েলারি সেট সবই রয়েছে গাউছিয়া ও চাঁদনী চকে। তবে এ মার্কেটে আসার আর একটা বড় কারণ, সব ধরনের পণ্য একটু হলেও কমে কেনা যায়।

ঠিক একই কারণে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব শ্রেণির ক্রেতারই আনাগোনা রয়েছে এ মার্কেটে। ক্রেতাদের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে ঈদের বিকিকিনিতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। একদরের দোকানগুলোতে কাপড়ের গায়ে দাম লেখার কাজও শেষ।


দোকানে বাহারি ডিজাইনের কাপড় ও তার ক্যাটালগ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যার যেমন পছন্দ, ওই ডিজাইন দেখে কোড নম্বর বললেই দোকানিরা তাৎক্ষণিকভাবে বের করে দেবেন পছন্দের পোশাকটি। এতে ব্যবসায়ীদেরও হাজারটা পোশাক বের করে দেখার ঝামেলা থাকছে না এবং ক্রেতাদের পোশাক বাছাই করতে সময় নষ্ট হয় না। 


গাউছিয়া মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে নানা ধরনের থ্রিপিস, ফোরপিস, লন, স্টিচ এবং আনস্টিচ পোশাক। দোতলাও একইভাবে সাজানো। তবে তিনতলায় রয়েছে পাকিস্তানি কাপড়ের সংগ্রহ এবং ব্যাগ ও জুতার দোকান। অন্যদিকে চাঁদনী চকের নিচতলা জুড়ে মিলবে পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহনা। ইমিটেশন, রুপার গহনা, কিছু স্বর্ণের গহনাসহ পাবেন নানা ধরনের জুয়েলারি। 

পূর্ব দিকে পাবেন গজ কাপড়ের দোকান, যার বিস্তৃতি দোতলার কিছু এলাকাজুড়ে। তিনতলায় পাবেন বাহারি ডিজাইনের মানানসই ব্যাগ। পশ্চিম দিকে রয়েছে দর্জি কর্নার। ঈদ পোশাকের কেনাকাটায় গাউছিয়া ও চাঁদনী চকে যত আগে যাবেন ততই ভালো। কারণ, দিন যাবে আর ভিড় বাড়বে গাউছিয়া এবং চাঁদনী চকের দোকানগুলোতে।