এই ৫টি বদ-অভ্যাস থাকলে এখনই ছাড়ুন

Looks like you've blocked notifications!

প্রাত্যহিক জীবনের নানা ব্যস্ততার মধ্যে প্রতিদিন হাজারো কাজ করতে হয়। পরের দিনটিতে আগের দিনের চাইতে বেশি কাজ করা, কিছু কাজ অবশ্যই করা এবং আগের দিনের চাইতে ভালোভাবে করার চিন্তা সবারই থাকে।

কিন্তু চাইলেও অনেক রুটিনমাফিক চলেও সব কাজ ভালোভাবে করা সম্ভব হয় না। কারণ এই বেধে দেওয়া রুটিনের মাঝখানে অনেক অপ্রয়োজনীয় বিষয় চলে আসে, যেগুলো আমরা অভ্যাসবশতই করে থাকি। কিন্তু এগুলো আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময়কে নষ্ট করে।

এমন ৫টি কাজের অভ্যাস আমাদের এখনই ত্যাগ করা উচিত। অভ্যাসগুলো নিচে তুলে ধরা হলো :

১. অপরিচিত নম্বরের ফোন না ধরা : কাজের সময় অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোনকল ধরা উচিত নয়। এটি কাজ থেকে আপনার মনোযোগকে বহু দূরে নিয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, এটি যদি গুরুত্বপূর্ণও হয়, আপনার আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না। কেননা, সেই আলোচনার জন্য আপনার মন প্রস্তুত নয়, কিন্তু অপরপক্ষ পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েই কলটি করেছে। তাই গুগল ভয়েস বা মেইলের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করুন। এতে আগে বার্তাটি দেখে নিজের প্রস্তুতি অনুযায়ী যোগাযোগ করতে পারবেন।

২. এলোমেলো আলোচনা এড়িয়ে চলুন : কারো সঙ্গে কথা বলার সময় এলোমেলো আলোচনা এড়িয়ে চলুন। এতেও সময় বাঁচে। যেমন : কেউ তার ছুটির দিনের কথা বলতে শুরু করলে খুব বিনীতভাবেই এড়িয়ে চলুন। শুনতে খারাপ লাগলে এটা জরুরি। কারণ, এই ছোট কথাটি না বলতে পারলে আপনার বড় একটা সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৩. ঘনঘন বার্তা চেক না করা : ফেসবুক মেসেঞ্জার বা মেইলে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর বার্তাগুলো চেক করতে পারেন। আসক্ত হয়ে পড়লে চলবে না। বারবার বার্তা চেক করতে গিয়ে যেমনি জরুরি কাজের সময় নষ্ট হয়, তেমনি অন্য কাজ করার সময়ও মন ব্যস্ত থাকে।

৪. প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ রক্ষা করুন : কোনো একটা কাজের জন্য উপযুক্ত যোগাযোগ দক্ষতা থাকাটাও জরুরি। যার কাছ থেকে কাজটি আদায় করবেন তাকে ঠিক কখন ফোন দেওয়া যায় বা কয়বার ফোন দেওয়া যায় সেটি বুঝতে হবে। না বুঝে বারবার ফোন দিয়ে আপনার কাজের গুরুত্বও কমে যেতে পারে। নিজের উত্তর পাওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলুন।

৫. অতিরিক্ত কাজের চাপে বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন না : অতিরিক্ত কাজের চাপে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের ক্ষমতার চাইতেও বেশি কাজ করার চেষ্টা করবেন না। কিংবা সব কাজ শেষ করার জন্য অগোছালোভাবে কাজ করতে থাকবেন না। এতে সব কাজ তো শেষ হবেই না, জরুরি কাজগুলোও পড়ে থাকবে। শেষে হতাশায় ভুগবেন।

তাই, মাথা ঠান্ডা করে বসুন। কাজগুলো নিয়ে ভাবুন। কোন কাজগুলো জরুরি, কোনগুলো আগে করবেন। এরপর ধারবাহিকভাবে শেষ করুন। তাহলে অন্তত হতাশায় ভুগবেন না।