সহকর্মীকে যে ৭টি কথা কখনোই বলবেন না

Looks like you've blocked notifications!
সব কথা সহকর্মীকে বলতে নেই, বুঝলেন! ছবি : ক্রন

প্রতিদিনের তথা জীবনের একটি লম্বা সময় আমরা সবাই কাটাই কর্মক্ষেত্রে। পারিবারিক জীবনের মতো এই জীবনও একটি বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে থাকে আমাদের মাঝে। কাজেই কেবল কাজের বিনিময়ে অর্থের মাঝে আটকে থাকে না এই জীবনের চলাফেরা। প্রতিনিয়তই আমাদের কথাবার্তা হয় সহকর্মীদের সঙ্গে। যেহেতু এটি একটি পেশাদারি ক্ষেত্র, সুতরাং বন্ধুত্বের বা সুসম্পর্ক ছাপিয়েও অনেক কথায় আমাদের সতর্কতা বজায় রাখা উচিত। এওএল জবস ব্লগে সাতটি কথা সহকর্মীদের সঙ্গে বলার বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে যেগুলো প্রায়ই নিজেদের অজান্তে আমরা বলে থাকি।

১. তুমি কাকে ভোট দিচ্ছো/তুমি কাকে সমর্থন করো?

এ ধরনের জিজ্ঞাসার উত্তর বিব্রতকর হতে পারে অনেকের জন্য। হয়তো আপনি ভুল তথ্যও পেতে পারেন যা আপনার জন্য পরে বিপদ ডেকে আনতে পারে। কাজেই এসব প্রশ্ন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

২. আমার প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগছে!

কাজ করলে ক্লান্তি আসবেই। সবাই ক্লান্ত হয়। সহকর্মীকে এটা বলা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়, কারণ তিনিও অবশ্যই ক্লান্ত অনুভব করেন।

৩. আমি বসের ব্যাপারে তোমাকে একটা কথা বলব, কিন্তু এটা কাউকে বলবে না কিন্তু!

এ কথা বলে কিন্তু আপনি নিজেই নিজের ক্ষতি করছেন, মাথায় রাখুন। একে এতে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়, উপরন্তু আপনার কর্মস্থলে বিপদে পড়তেও বেশিদিন সময় লাগবে না।

৪. তুমি সব সময় এ রকম করো/তুমি কখনো এ রকম করো না

কে কী করবে বা না করবে, দিনশেষে সেটি একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা নির্ধারণ করে দেওয়ার দায়িত্ব তো আপনার নয়। এটা ভুলে যাওয়া উচিত না।

৫. এটা আমার কাজ না

কোনটি আপনার কাজ কী কাজ নয়, তা নিয়ে স্পষ্টভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনবোধে যিনি আপনাকে কাজটি দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বোঝাপড়ায় যান। সহকর্মীর এ বিষয় নিয়ে হতাশাপূর্ণ আলাপচারিতার কোনো মানে নেই, কারণ তিনিও হয়তো এ রকম অনেক কাজই করছেন!

৬. আসলে হয়েছে কী...

এ ধরনের বাক্যাংশ সব সময়ই আপনার দ্বিধা প্রকাশ করে। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দেয় যে আপনি অনেক কিছুই স্পষ্টভাবে বোঝাতে পারেন না। ‘আসলে হয়েছে’ ব্যবহার করা এমনটাই বোঝায় যে আপনি অনেক সময়ই লোক দেখানো কাজ করেন বা করতে বাধ্য হন। পেশাদারি ক্ষেত্রে এটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

৭. আমার কাজটাই ফালতু/আমি এই কাজটা খুবই অপছন্দ করি

এ ধরনের কথা কেবল আপনার অপেশাদারি মনোভাবই প্রকাশ করে না, সঙ্গে সঙ্গে আপনার পেশাদারি অবস্থানকেও ঝুঁকির দিকে নিয়ে যায়। দেখবেন, কোনো একদিন ফট করে আপনার বস এসে বলছেন, ‘বেশ তো, কাজটা যখন ভালোই লাগে না বা এত ফালতু মনে হয়, তাহলে চাকরিটা ছেড়ে দিন!’ সুতরাং সাবধান।