অ্যাভোকাডো ত্বকের যত্নে কতটা কার্যকর?

Looks like you've blocked notifications!
অ্যাভোকাডো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ছবি : বোল্ডস্কাই

পাকা অ্যাভোকাডো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায়। সব ধরনের ত্বকেই অ্যাভোকাডো ব্যবহার করা যায়। টানা এক মাস নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে আপনি নিজেই নিজের ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

অ্যাভোকাডো ত্বকের যত্নে কতটা কার্যকর তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন-

অর্ধেকটা অ্যাভোকাডো, দুই টেবিল চামচ মধু ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে মুখ লাগান। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুইদিন এই প্যাক মুখ লাগান। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে।

অর্ধেকটা অ্যাভোকাডো, দুই টেবিল চামচ চিনি ও এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে। 

ঘুমানোর আগে অ্যাভোকাডো হাতে চটকে নিয়ে চোখের চারপাশে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। অ্যাভোকাডোর ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট চোখের নিচের কালো দাগ ও বলিরেখা দূর করে সহজেই।

মেকআপ রিমুভার হিসেবে অ্যাভোকাডো খুবই কার্যকর। অ্যাভোকাডো কেটে নিয়ে তুলা দিয়ে এর তেল মুখে ভালো করে লাগান। এবার তুলা দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। দেখবেন, পুরো মেকআপ তুলার সঙ্গে উঠে আসবে। এই তেল মেকআপ ওঠার পর ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখবে।

অভোকাডো চটকে নিয়ে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে মেখে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। অ্যাভোকাডোর ভিটামিন এইচ নতুন চুল গজাতে বেশ কার্যকর।

অ্যাভোকাডোর সঙ্গে সামান্য কলা চটকে নিয়ে হাত ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে গ্লিসারিন লাগান। এতে হাত নরম ও মসৃণ হবে।

অ্যাভোকাডোর সঙ্গে সামান্য পিপারমেন্ট অয়েল ও লবণ মিশিয়ে ১০ মিনিট হালকাভাবে ঠোঁট ম্যাসাজ করুন। এটি ঠোঁটের মরা কোষ দূর করে এবং ঠোঁটের রক্ত সঞ্চালন বাড়তে সাহায্য করে।