পোশাকে লাল-সবুজ

Looks like you've blocked notifications!

লাল-সবুজের মিশেলে পোশাকের ক্যানভাসে ফুটে ওঠে দেশীয় আমেজ। ইদানীং পোশাকের ডিজাইন আর রঙে এমনিতেই বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। এই বৈচিত্র্যের মেলায় লাল-সবুজ যোগ হলে ভিন্ন মাত্রা পেয়ে যায় পোশাকটি। এই দুই রঙে নারী-পুরুষ সবাইকে দেখতে বেশ দারুণ লাগে। কারণ এতে ফুটে ওঠে প্রকৃতির ছোঁয়া, ফুটে ওঠে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।

শাড়ির রং ও ডিজাইনে রয়েছে বিচিত্রতা

লাল-সবুজ রংকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে পোশাকে। সবুজ শাড়ি লাল পাড় অথবা লাল শাড়িতে সবুজ ডিজাইন করা হয়েছে। শাড়ির ক্যানভাসে টিয়া রঙের কাজ করা হয়েছে। সুতি কাপড়ে ব্লক, ক্যাটওয়ার্ক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, বাটিক, হাতের কাজ, কারচুপির কাজ এবং অ্যাম্ব্রয়ডারি করা হয়েছে। আর মোটিফ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে স্মৃতিসৌধের ডিজাইন, স্বাধীনতার কথা এবং কবিতার পংক্তি। শাড়ির আচলে ফুটে উঠেছে স্মৃতিসৌধের ডিজাইন। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজটাও হতে পারে লাল-সবুজ। লং হাতা পরতে পারেন। অনেক স্টাইলিশ লাগবে। তবে গরমে অস্বস্তি লাগলে ছোট হাতার ব্লাউজই বেছে নিতে পারেন।

পাঞ্জাবির কাটিংয়ে ভিন্নতা

পাঞ্জাবির ডিজাইন ও রঙে পাবেন বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। কাটিংয়েও রয়েছে ভিন্নতা। লং, সেমি লং পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার ডিজাইনে এবং কাটিংয়ে রয়েছে লাল-সবুজের আমেজ। সবুজ পাঞ্জাবির ওপর লাল ব্লকের কাজ, সুতার কাজ এবং ‌অ্যাম্ব্রয়ডারির কাজ করা হয়েছে। আবার লাল এক রঙা পাঞ্জাবির ওপর সবুজ রঙের ডিজাইন চোখে পড়ার মতোই।

কুচির ডিজাইনে সালোয়ার-কামিজ

সালোয়ার-কামিজের ওপর সুতার কাজ করা হয়েছে। আর রং হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে গাঢ় সবুজ, টিয়া রং, হালকা সবুজ ও লাল রংকে। লং কামিজের সামনের অংশে জুড়ে দেওয়া হয়েছে হালাকা কুচি। যা কামিজের কাটিংয়ে ভিন্নতা এনেছে। আর চুড়িদারের সঙ্গে এসব কামিজ দেখতেও লাগে বেশ। ওড়নার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে লাল অথবা সবুজ যেকোনো একটি রংকে। একরঙা ওড়না পুরো কামিজকে আরো স্টাইলিশ করে তুলেছে।

মেকআপটা হওয়া চাই হালকা

রেড বিউটি সেলুনের নির্বাহী পরিচালক আফরোজা পারভীন বলেন, ‘লাল-সবুজ পোশাক যেহেতু অনেক গাঢ় রং তাই মেকআপটা হওয়া চাই খুবই সাধারণ। হালকা বেইজ মেকআপ করে চোখে কাজল বা আইলাইনার লাগাতে পারেন। ঠোঁটের জন্য হালকা লিপস্টিক বেছে নিন। আর চোখে আইশ্যাডো না দেওয়াই ভালো। ব্লাশন হালকা ব্রাউন হলে ভালো হয়। আর ব্লাশন ব্যবহার না করলেও কোনো ক্ষতি নেই। ছোট চুল হলে ছেড়ে দিতে পারেন। অথবা সামনে হালকা পাফ করে পিছনের চুলটা ছেড়ে দিতে পারেন। চাইলে খোঁপাও করতে পারেন। গরমের সময় তো খোপা বা বেণীতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। আর কপালে পরতে পারেন লাল একটা বড় টিপ।’

বেছে নিন মেটালের গয়না

সুতির শাড়ির সঙ্গে সাধারণত মেটালের গয়না বেশ ভালো মানায়। গলায় বড় একটা মেটালের নেকলেস পরতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কানে ভারি কিছু না পরলেও চলবে। আর হাতে পরতে পারেন মেটালের চুড়ি অথবা কাঁচের চুড়ি। ব্যাস, পুরো সাজ-পোশাক সম্পন্ন।