ঈদ কেনাকাটা

সবার আগে শিশুর পোশাক

Looks like you've blocked notifications!

যে কোনো উৎসবকে ঘিরে শিশুর আনন্দটা একটু বেশিই থাকে। আর তা হবেই বা না কেন? ঈদ তো শিশুদেরই। ওদের কাছে ঈদ মানেই নতুন জামা।

ঈদবাজারে শিশুদের কথা মাথায় রেখে আয়োজনের যেন কোনো কমতি নেই। দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি রয়েছে দারুণ সব বিদেশি পোশাকের সম্ভার। কারণ তাদের চাহিদা একটু ভিন্ন। সে যে পুতুলটি নিয়ে খেলে সেই ‘বার্বি ডল’-এর গোলাপি ঝালরের পোশাকটিই হয়ে ওঠে তার ঈদের আবদার।

আবার কার্টুন চরিত্র ব্যাটম্যান, সুপারম্যানের মতো সাজতেও মন চায়। ঈদ বলে কথা। তাই শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে তাদের বায়না একটু-আধটু মেটাতেই হয়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এবার প্রিন্টের পোশাকের চাহিদা একটু বেশি। গরম এবং মাঝে মাঝেই বৃষ্টি, তাই সুতির কাপড়ের চাহিদা আছে বেশ। হাতের কাজ, কারচুপি, অ্যাপ্লিক, রিবনের প্রভাব রয়েছে কমবেশি। প্রজাপতির ডানা, কাপড়ের ফুল, টুনটুনি পাখি, সবই দেখা গেছে মোটিফ হিসেবে। শিশুর যা কিছু ভালো লাগে, তা-ই প্রাধান্য পাচ্ছে এবার।

ছোট ছেলেদের পোশাকেও রয়েছে এর ছাপ। ছেলেদের শার্ট বা ফতুয়ায় প্রাধান্য পাচ্ছে হাফহাতা এবং হাতাছাড়া কাট। লং প্যান্টের বদলে কোয়ার্টার। সাদা পাঞ্জাবির পাশাপাশি রঙিন পাঞ্জাবি বেশ পছন্দ ছেলেশিশুদের। শিশুদের ক্ষেত্রে আরামের জন্য সবারই মনোযোগ সুতিতে। দেশি পোশাকে পাবেন ভয়েল, বেক্সি ভয়েল, কটন জর্জেট, অ্যান্ডি কাপড়ে পছন্দের পোশাক।

পাশাপাশি নজর রাখা হয়েছে রঙের বিষয়টি। কন্ট্রাস্ট কালার খুব চলবে শিশুদের এবারের ঈদপোশাকে। পিংক, পার্পেল, ফিরোজা, ম্যাজেন্টা, লাল, নীলের সব রঙেই চলছে মিক্সম্যাচের খেলা। তবে প্রিন্টও বেশ পছন্দ করছে শিশুরা।

দুই থেকে ১২ বছর বয়সী মেয়েশিশুদের জন্য থাকছে সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক, স্কার্ট-টপস, ফতুয়া, থ্রিপিস ও টি-শার্ট। আর ছেলেদের জন্য ফতুয়া, প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, শর্ট পাঞ্জাবি ইত্যাদি।

মেয়েশিশুদের পোশাকের নকশা ও কাটিংয়ে রয়েছে বিশেষ ভিন্নতা। অ্যালাইন কাট, হাতাকাটা পোশাক ছাড়াও ঘটি হাতার ফ্রক ও টপসের সংগ্রহ বেড়েছে। কামিজের লেইসের ওপর বিশেষ ডিজাইন থাকছে। অধিকাংশ পোশাকই হাতাছাড়া বা ছোট হাতার।

শিশুদের পোশাকের ধরন ও উপকরণের ওপর ভিত্তি করে দাম পড়বে ৫০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা বা তার বেশি। একটু কম দামের জন্য বেছে নিতে পারেন রাজধানীর নিউমার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, বঙ্গবাজার, মৌচাক মার্কেট, তালতলা মার্কেট।

গেঞ্জি, টি-শার্ট, হাফ হাতা শার্ট পাবেন ১৫০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। গ্যাবার্ডিন ও জিনসের প্যান্টগুলোর দাম পড়বে ৩০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং মেয়েদের ফ্রক, স্কার্ট ও টপ পাবেন ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। শিশুদের শাড়ি ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকা। বাবা-ছেলের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে ছেলের পাঞ্জাবির দাম পড়বে ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। সালোয়ার-কামিজ ৮০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত। ফতুয়ার দাম পড়বে ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ফ্রক কিনতে খরচ করতে হবে ৫০০ থেকে ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত।

শৈশব, আড়ং, নিপুণ, রঙ বাংলাদেশ, অঞ্জন’স, দেশাল ও যাত্রায় পাবেন শিশুদের দেশীয় পোশাক। পশ্চিমা পোশাকের জন্য যেতে পারেন জেন্টলপার্ক, টেক্সমার্ট, মি অ্যান্ড মম, ক্যাটস আই কিডস, লা রিভ, মেনজ ক্লাব, টেক্সমার্ট কিডসসহ বিভিন্ন হাউসের আউটলেটে।

সীমান্ত স্কয়ার, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কসহ বিভিন্ন শপিং সেন্টারেই পাবেন এই পোশাকগুলো। এ ছাড়া নিউমার্কেট ও বদরুদ্দোজা মার্কেটে আছে শিশুদের জন্য নানা ধরনের পোশাক।