স্নানঘর সতেজ রাখুন সহজেই

Looks like you've blocked notifications!

বাড়িতে কোনো জায়গায় একটু নোংরা হলে আমরা সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হই। আর যদি তা স্নানঘর বা বাথরুম হয়, তাহলে তো কথাই নেই। বাথরুম পরিষ্কার করাটা যে কত কষ্টের একটা কাজ, যাঁদের বাসায় কাজের মানুষ নেই, তাঁরা সেটা জানেন। আর পরিষ্কার করার কয়েক দিনের মাঝেই যদি আবারও ময়লা হয়ে যায়, তখন কষ্ট বেড়ে যায় বহুগুণে। স্নানঘরের পরিচ্ছন্নতা বেশ কিছুদিন ধরে রাখার কিছু সহজ কৌশল আছে। চলুন, টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত সেই কৌশলগুলো জেনে নিই।

  • অনেকের স্নানঘর আকারে অনেক ছোট। সে ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সেখানে জিনিসপত্র কম রাখুন। সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করে যত্রতত্র বাথরুমেই রেখে দিয়ে আসবেন না। আলাদা স্থান নির্ধারণ করুন, যেখানে সাজিয়ে রাখুন। প্রতিবার সাবান ব্যবহার না করে লিকুইড হ্যান্ড ও বডিওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
  • স্যাঁতসেঁতে ভেজা স্নানঘর থেকে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। তাই স্নানঘরের মেঝে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। স্নানঘর ব্যবহারের পর দরজা কিছুক্ষণ খোলা রাখুন। দেখবেন, কিছুক্ষণ পর মেঝে শুকিয়ে গেছে। এতে স্নানঘর পরিষ্কার থাকবে বেশি সময় এবং পরে পরিষ্কার করা সহজ হবে।
  • আপনার স্নানঘরে যদি পর্দা থাকে, তা নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখুন। বেসিনের পাশে হাতগামছাটির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। এক গামছা দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না। রোজ সকালে একটি পরিচ্ছন্ন গামছা রাখুন।
  • কখনো কাপড় কিংবা ভেজা গামছা স্নানঘরের মেঝেতে ফেলে রাখবেন না। ব্যবহারের তৎক্ষণাৎ তা বারান্দায় কিংবা ছাদে শুকাতে দিন। ফলে কাপড় নষ্ট হবে না এবং দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
  • এয়ারফ্রেশনার কিংবা বিভিন্ন সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন, যা স্নানঘরকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখবে। তবে খুব কড়া সুগন্ধি ব্যবহার না করাই উত্তম।
  • স্নানঘরের মেঝে ও দেয়ালের দাগ-ময়লা দূর করতে একটি পরিষ্কার ব্রাশে ব্লিচিং পাউডার নিয়ে দাগের ওপর ঘষুন। অন্তত ছয় মাস পর পর স্নানঘর পরিষ্কার করার ব্রাশটি পরিবর্তন করা ভালো।