ভারতে বাংলাদেশের পোশাক প্রদর্শনী

Looks like you've blocked notifications!

‘নদী, সড়ক, রেল ও মানুষ : ব্যবসা, পর্যটন, আন্তদেশীয় সংযোগে নদীর অবদান’ এই স্লোগানকে উপজীব্য করে গত ১৫-১৬ জুলাই ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে ‘এশিয়ান কনফ্লুয়েঞ্চ নদী উৎসব ২০১৬’ অনুষ্ঠিত হয়।

দুইদিনের এই আঞ্চলিক সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, মিয়ানমার ও নেপালের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ভারতের মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীরা, মেঘালয়ের গভর্নর, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, দিল্লির বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ছাড়াও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজের সদস্য, ফ্যাশন ডিজাইনার, বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা ও সদস্যসহ বাংলাদেশ থেকে দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও ছিল একাধিক পলিসি ডায়ালগ ও থিমেটিক আলোচনা। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা। যেখানে বাংলাদেশের পোশাকের প্রদর্শনী সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

‘ইয়ার্নস অ্যান্ড ডাইস’ এবং ‘কমিউনিটি লেড ট্যুরিজম’ শিরোনামে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ এই প্রদর্শনীতে দেশীয় ফ্যাশন হাউস বিবিয়ানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডিজাইনার লিপি খন্দকার তাঁর খাদি, সিল্ক ও সূচিশিল্প এবং আজিয়ার ট্যুরিজম এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীদ হোসেন শামীম তার ইন্ডিগো ডায়িংয়ের এক্সক্লুসিভ পোশাকের প্রদর্শনী করেন।

লিপি খন্দকার এই প্রদর্শনী সম্পর্কে বলেন, ‘এখানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে সমসাময়িক ফ্যাশন ও পোশাক সম্পর্কে দর্শনার্থীদের একটা ধারণা দিতে পেরেছি। ভারতীয় ক্রেতারা খুব শিগগিরই বাংলাদেশে আসবেন আমাদের কাজ এবং ভারতে আমাদের পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা যাচাই করতে। এ ছাড়া আমরা ইতিমধ্যেই কলকাতা, শিলং, ত্রিপুরা, আসামসহ বিভিন্ন এলাকায় আমাদের পোশাকের প্রদর্শনী ও বিক্রির জন্য একাধিক আমন্ত্রন পেয়েছি। খুব শিগগিরই আমরা সেখানে যাব আমাদের প্রডাক্ট নিয়ে।’

এই বিশেষ গ্যালারিতে একই সাথে নির্বাচিত ছয়জন তরুণ ডিজাইনারের তৈরি পোশাকের প্রদর্শনীও করা হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী লাল থানওয়ালা।

বাংলাদেশের এই প্রদর্শনী ও এর সামগ্রিক কাজে সহায়তা করেছে ঢাকার ইএমকে সেন্টার। বিপুল দর্শনার্থী ছাড়াও বাংলাদেশের গ্যালারি পরিদর্শনে আসেন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ড. মুকুল নাগ শার্মা, গভর্নর ভি সানামুগানাথ ও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, গভর্নর, কূটনীতিক ও সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিরা।