‘অফিস পলিটিকস’ সামলাবেন কীভাবে?

Looks like you've blocked notifications!

দিনের বেশির ভাগ সময়ই আমরা অফিসে কাটাই। এ কারণে কখনো বসের সঙ্গে সমস্যা হতে পারে, আবার কখনো সহকর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন পরিস্থিতি হয়, যখন না চাইলেও অফিসের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। ঝামেলা বলতে ‘অফিস পলিটিকস’কেই বোঝানো হচ্ছে। এর ফলে কারো কারো চাকরিও চলে যায়। এমন সমস্যায় পড়লে কী করবেন আর কী করবেন না, সে সম্বন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ায়।

মেনে নিন

যেকোনো যুদ্ধে জিততে হলে আপনাকে প্রথমে বিষয়টি মেনে নিতে হবে। আর অফিস পলিটিকসে আপনি যদি জড়িয়ে পড়েন, তাহলে বোঝার চেষ্টা করুন এই ঝামেলার কারণ কী। মনে রাখবেন, সব পরিস্থিতিই আপনাকে মেনে নিতে হবে। হয় আপনি ঝামেলার মোকাবিলা করবেন, নয়তো এড়িয়ে যাবেন। এটা পুরোপুরি আপনার ওপর নির্ভর করছে।

কারো পক্ষ নেবেন না

সব সময় যে ঝামেলায় আপনিই পড়বেন, তা কিন্তু নয়। অন্যদের সমস্যায় কোনো এক পক্ষের হয়ে কথা বলবেন না। এতে আপনিও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। আবার ভুল মানুষের পক্ষেও আপনার সমর্থন অন্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া অফিসের কোনো বিষয়ে সবাই একমত হলে আপনি তার বিপক্ষে যাবেন না। এতে পরবর্তী সময়ে কোনো সমস্যা হলে সবাই আপনাকেই দোষারোপ করবে।

কোনো বিষয় ব্যক্তিগত ভাববেন না

অফিসে কোনো ঝামেলায় পড়লে অযথা বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে নিজের কাঁধে নেবেন না। কিছু বিষয় বুদ্ধি করে এড়িয়ে যাবেন। মনে রাখবেন, অফিসের বস বা সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তাই ঝামেলাগুলোও ব্যক্তিগত পর্যায়ে নেবেন না।

রাগ করে মেইল পাঠাবেন না

অফিসের ঝামেলার কারণে কোনো সহকর্মীকে মেইল পাঠাবেন না। কারণ সে এই মেইলটি আপনার বসকে দেখিয়ে দিতে পারে। এর ফলে বিষয়টি ছোট হলেও এটা কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যাবে, যা আপনাদের দুজনের ক্যারিয়ারের জন্যই ক্ষতিকর।

আসল দোষীকে খুঁজে বের করুন

অফিস পলিটিকসে জড়িয়ে গেলে খুঁজে বের করুন এর পেছনে আসল দোষী কে। কারণ আপনি যদি শত্রুকে চিনতেই না পারেন, তাহলে পরে আবারও ঝামেলায় জড়াতে পারেন। যখন মনে হবে কেউ আপনার ক্ষতি করতে চাইছে, তখন আপনি তার কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। আপনার বিষয়গুলো তাকে জানানো বন্ধ করুন। আর অফিসের কাজগুলোও তার সঙ্গে না করাই ভালো। দেখবেন, অফিসে আপনি ঝামেলামুক্ত থাকবেন।