বিভিন্ন বয়সের জন্য ত্বকের যত্ন

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- ফ্রিপিক

বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক বদলাতে থাকে। ২০ বছর বয়সে ত্বক যা মানিয়ে নেয়, তা আবার ৫০ এ নেয় না। এক এক বয়সে ত্বকের এক এক রকম পুষ্টি লাগে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের চাহিদাও পরিবর্তিত হয়, অনেকটা আমাদের শরীরের মতো। তাই যেকোনো বয়সে আপনার সেরাটি দেখার জন্য আপনার ত্বকের ধরণ বুঝে নিন।  সে অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নিন।

২০ এর দশকে

২০ এর দশকটি ত্বকের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী সময়। ঠিক আপনার দেহের বাকি অংশের মতো। কোলাজেন, ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে তারুণ্যের উজ্জ্বলতা দেয়। এ সময় ত্বকের খুব বেশি বাহ্যিক সহায়তার প্রয়োজন হয় না। কারণ কোষগুলো তরুণ এবং পুনরুজ্জীবিত থাকে। ব্রণ, হরমোনের পরিবর্তন এবং সূর্যের সংস্পর্শ এই বয়সের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অপরিহার্য। এর সাথে ভাল ক্লিনজিং ও ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। এগুলো ব্যবহারে পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য একটি শক্তশালী ভিত্তি স্থাপন করবে।

৩০ এর দশকে

২০ এর দশকের স্কিনকেয়ার আর ৩০ এর দশকের স্কিনকেয়ারের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তবে এ সময় কিছু জিনিস যোগ করা দরকার। কারণ ৩০ এর দশকে স্ট্রেস আসে। যা আপনার ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে। ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন, সূক্ষ্ম রেখা, সূর্যের দাগ এবং চোখের নীচে কালি পড়তে পারে। তাই স্কিনকেয়ার রুটিনে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার বা সিরাম ব্যবহার করুন। অ্যান্টি-এজিং পণ্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন।  এগুলো ত্বককে টানটান রাখবে এবং উজ্জ্বল করবে।

৪০ এর দশকে

৪০ এর দশকে প্রবেশ করার সাথে সাথে বার্ধক্যের লক্ষণগুলি বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ সময় বয়সের রেখাগুলো দৃশ্যমান হতে শুরু করে। এই বয়সে মহিলারা মেনোপজে মুখোমুখি হয়। ফলে ত্বককে শুষ্ক এবং কম স্থিতিস্থাপক করে তুলে। এ সময় নন-ফোমিং হাইড্রেটিং ক্লিনজার, ঘন ময়েশ্চারাইজার, ভিটামিন সি সিরাম, পেপটাইডস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পণ্য বেছে নিন। এগুলো ত্বকের প্রাকৃতিক টেক্সচার ধরে রাখবে। ত্বক প্রাণহীন হওয়া থেকে রোধ করবে। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন।

৫০ বা তার উর্ধে

৫০ এর দশকে ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের পরিমাণ কমে যায়। এতে আপনার ত্বক পাতলা হয়ে যায়। তাই এই বয়সে স্কিনকেয়ার পণ্যগুলো বাছাই করার সময় সুপার-হাইড্রেটেডযুক্ত পণ্য বেছে নিন। এতে আপনার ত্বক অপ্রয়োজনীয় শুষ্কতা কাটিয়ে ওঠতে পারে। স্কিনকেয়ার রুটিন প্রস্তুত করার সময় প্রাথমিক উপাদান হিসাবে গ্লিসারিন, সিটেরিল অ্যালকোহল, সিরামাইডস এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিডকে অগ্রাধিকার দিন। এতে আপনার ত্বক ভালভাবে পুষ্ট এবং সুরক্ষিত থাকবে।

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস