যেভাবে এসেছে বিশ্ব বাবা দিবস

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- পিন্টারেস্ট

আজ ১৮ জুন। বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করা হয়। এই দিবসটি পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি ভালবাসা, সমর্থন, সম্মান এবং প্রশংসা করার জন্য উদযাপিত হয়।

বাবা দিবসের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। ১৯০৯ সালে সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারী বাবা দিবসের স্বীকৃতির জন্য পদক্ষেপ নেন। ডডরা ৬ ভাইবোন ছিলেন। তাদের বাবা উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট তাদেরকে বড় করে তুলেছিলেন। তাদের মা ছিল না। ডড তার বাবাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। এ জন্য তার মনে হতে থাকে যে, বাবাকে সম্মান জানানোর জন্য একটি দিন থাকা দরকার। জানা যায়, ডড মা দিবসের প্রতিষ্ঠাতা আনা জার্ভিসের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন। বাবা দিবস প্রতিষ্ঠা করার যাত্রা তার জন্য মসৃণ ছিল না। কারণ গির্জা তার আবেদনকে সমর্থন করেনি। অবশেষে, তাকে সমর্থনের জন্য আরও বেশ কয়েকটি স্থানীয় গির্জায় সমাবেশ করতে হয়েছিল। দীর্ঘ এক বছর সাধনার পর স্থানীয় কমিউনিটি গুলোতে বাবা দিবস পালন করতে পারেন ডড। ১৯১০ সালের ১৯ জুন  বিশ্বে প্রথম বারের মতো পালিত হয় বাবা দিবস।

ধীরে ধীরে মা দিবসের পাশাপাশি বাবা দিবসের প্রতিও সচেতন হতে থাকেন সন্তানরা। ১৯৬৬ সালর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন লিন্ডন জনসন। তিনি জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এরপর ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন একটি আইনে স্বাক্ষর করে বাবা দিবসকে জাতীয় মর্যাদা দেন।

বাবা এবং তাদের সন্তানদের মধ্যে অনন্য বন্ধন উদযাপন করার দিন বাবা দিবস।  এই দিনে, সন্তানরা বিভিন্ন উপায়ে তাদের পিতার প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন করেন। সন্তানরা এই দিনে বাবাকে নানা উপহার দিয়ে থাকেন। অনেকে মানসম্মত সময় কাটান। এই শেষ সময়ে এসে আপনিও চাইলে আপনার বাবাকে গ্যাজেট, বই বা পোশাকের মতো উপহার দিতে পারেন। অথবা বাবাকে নিয়ে চলে যেতে পারেন কোন রেস্টুরেন্টে। উপভোগ করতে পারেন বাবার প্রিয় খাবারগুলো।

সূত্র- ন্যাশনাল টুডে/হিন্দুস্তান টাইমস