বাবা দিবস: বাবার সাথে সম্পর্ক শক্তিশালী করার ৬ উপায়

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- পিন্টারেস্ট

বাবা পরিবারের বৃক্ষ। তারা সবসময় আমাদের ছায়াতে রাখে। কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় সন্তানরা যেভাবে মায়ের সাথে আবদ্ধ থাকে, পিতার সাথে  বন্ধন স্থাপন করতে অসুবিধা বোধ করে। তারা তাদের মানসিক প্রয়োজনের জন্য তাদের মায়েদের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হয়। এর মানে এই নয় যে, সন্তানরা বাবাদের কম সম্মান করে না বা ভালবাসে না। তাই এই দূরত্ব দূর করে ফেলুন।  আজ বাবা দিবস। এই দিন বাবার সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করে তুলুন। বাবার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে কিছু পদক্ষেপ নিন।

দুইজনের পছন্দের ক্রিয়াকলাপ উপভোগ করুন

একসাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। এমন ক্রিয়াকলাপগুলো বেছে নিন, যা আপনারা দুইজনই সমানভাবে উপভোগ করেন। যেমন- বাগান করা, ক্রীড়া ক্রিয়াকলাপ, বই পড়া বা রান্না করা। আপনার বাবার সাথে সাধারণ আগ্রহগুলো ভাগ করে নিন। এতে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।

জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন করুন

আপনি যদি আরও ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান তবে বাবার দৈনন্দিন জীবনে আগ্রহ দেখান। আপনি তাদের চাকরি, বন্ধু, শৈশব, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন, ভ্রমণের লক্ষ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। যা তারা আপনার সাথে ভাগ করে নিতে আনন্দ পাবে।

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আলোচনা করুন

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো বাবার সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তারা আপনাকে অবশ্যই সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যেকোনো ক্ষেত্রে বাবার সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না। তিনি আপনাকে একটি দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারে। এতে তিনি সম্মানিত বোধ করবেন।

মতবিরোধের সমাধান করুন

যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই মতবিরোধ দেখা দেয়। তবে এর মানে এই নয় যে, আপনি তাদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন। তাই বাবার সাথে কোনো মতবিরোধ হয়ে থাকলে তা নিয়ে কথা বলুন। নিজেদের মাঝে দূরত্ব কমিয়ে আনুন।

সাহায্য করার প্রস্তাব

আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, আপনার বাবাকে কোনো  কিছুর সাথে লড়াই করতে দেখলে তাকে সহায়তা করুন। যেমন- বাজার করা, বাগান রক্ষণাবেক্ষণ, মোবাইল রিচার্জ করা। যেকোনো  ছোট বা বড় কাজে তাকে সহায়তা করতে পারেন।

স্মৃতিচারণ করুন

আপনার বাবার সাথে বসুন। একসাথে কাটানো ভাল সময়গুলোর কথা স্মরণ করুন। যেমন- তাঁর সাথে আপনার শৈশব ভ্রমণ, খাবার রান্না করা, তাঁর সাথে কার্টুন দেখা এবং আরও অনেক কিছু। এটি মনে রাখতে সহায়তা করতে পারে যে, আপনারা একে অপরকে কতটা ভালবাসেন।

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস