হাতের লেখা দেখে বুঝে নিন ব্যক্তিত্ব

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- ফ্রিপিক

ডিজিটাল এই যুগে আমরা লেখালেখি করতে প্রায় ভুলেই গিয়েছি। কিন্তু আপনি কি জানেন, একজনের হাতের লেখা তার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করে? অক্ষরের আকার, ধরণ, ব্যবধান সব কিছুর মাঝেই গোপন রহস্য লুকিয়ে থাকে। যা আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করিয়ে দিতে পারে। ব্যক্তি হিসেবে আপনার কাছের মানুষটি কেমন তা জানতে আজই তার হাতের লেখা দেখুন। 

অক্ষরের আকার

একজনের হাতের লেখার ‘আকার’ তার মনোযোগের দৃষ্টিকোণ নির্দেশ করে। যাদের হাতের লেখা বড় তারা বহির্মুখী ব্যক্তিত্বের হয়ে থাকে। যাদের হাতের লেখা ছোট তাঁরা অন্তর্দৃষ্টি সম্পূর্ণ। এদের কাজে মনোযোগ থাকে।

ব্যবধান

শব্দ এবং অক্ষরের মধ্যে ব্যবধান ব্যক্তির আন্তঃব্যক্তিক প্রবণতা সম্পর্কে বলে। যাদের হাতের লেখায় ব্যবধান বেশি, তারা ব্যক্তিগত স্থান এবং স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন। যদি ব্যবধান ছোট থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করেন। শক্তিশালী সামাজিক সংযোগ তাদের ভাল লাগে।

হেলানো হাতের লেখা

হাতের লেখার হেলানো হলে সেই ব্যক্তি সংবেদনশীল মনোভাবের হয়ে থাকে। যদি ডান দিকে হেলানো থাকে তবে সে আবেগপ্রবণ। এটি বহিরাগত ব্যক্তিত্বকেও ইঙ্গিত করে। অন্যদিকে, বাম দিকে হেলানো থাকলে এরা আত্নকেন্দ্রিক হয়ে থাকে।   এদের আবেগ সংরক্ষিত থাকে।

চাপ

লেখার সময় প্রয়োগ করা চাপটি সংবেদনশীল তীব্রতার সাথে যুক্ত। তাই কেউ লেখার সময় খেয়াল করুন সে কতটা চাপ প্রয়োগ করছে। বেশি চাপ দিয়ে লিখলে শক্তিশালী আবেগ প্রকাশ পায়। এই ধরণের ব্যক্তি সংকল্পের সাথে যুক্ত হতে পার। যাদের লেখার চাপ হালকা হয় তারা সংবেদনশীল প্রকৃতির হয়।

লাইন

হাতের লেখার লাইন কতটা সারিবদ্ধ তা দেখুন। এটি ব্যক্তির স্থিতিশীলতা এবং অভিযোজন যোগ্যতা অনুমান করতে সাহায্য করবে। লেখার সময় লাইন সোজা থাকলে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে নির্দেশ করে। হাতের লেখা সোজা লাইনে না থাকলে   অসামঞ্জস্যপূর্ণ মেজাজের পরিবর্তন বোঝায়। 

স্বাক্ষর

কোনো ব্যক্তির স্বাক্ষর বড় হলে আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা বোঝায়। যখন একটি ছোট এবং সহজ থাকে তখন নম্রতা প্রকাশ পায়। 

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া