নাশতার টেবিলে গরম গরম ছিটাপিঠা
হিমহিম এই শীতে পিঠার নাম শুনলে সবার মন আনান্দে নেচে ওঠে। শীতকাল যেন পিঠাপুলি ছাড়া ঠিক জমে ওঠে না। তাই শীতজুড়ে চলে বাহারি সব পিঠার আয়োজন। ভাপা, চিতই, কুলি, মেরা, মালপোয়া, পাটিসাপটা আরো কত কী। এর মধ্যে ছিটপিঠা/ছিটরুটি চেনা আছে কজনের? ছিটপিঠা খুব মজাদার একটি দেশি পিঠা। ছিটিয়ে-ছিটিয়ে বানানোর বিশেষ কৌশল থেকে এর নামকরণ করা হয় ছিটপিঠা। তবে অঞ্চলভেদে এর চমৎকার কিছু নাম রয়েছে। যেমন—ঝালপাস পিঠা, ছিটকা পিঠা, ঝাল পিঠা ইত্যাদি। কিন্তু ছিটপিঠা/ছিটরুটি নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত এ পিঠা।
সকালবেলা নাশতার টেবিলে রাখতে পারেন ছিটরুটির সঙ্গে গরম গরম ভুনা মাংস বা মাংসের ঝোল, সবজি, পায়েস। পছন্দ অনুযায়ী সালাদ হতে পারে। আর চাইলে এই শীতে একটু ঘন করে জ্বাল দেওয়া খেজুরের রসের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন। তবে খাসি আর গরুর ভুনা মাংসের সঙ্গে অন্য কিছুর জুরি নেই। তাহলে চলুন দেখে নেই রেসিপিটি।
যা যা লাগবে এ পিঠা বানাতে
- চালের গুঁড়া : দুই কাপ (এতে ১২-১৫টি রুটি হতে পারে)
- পানি : তিন কাপ
- ডিম : একটা ডিমের অর্ধেকটা ফেটানো
- লবণ : পরিমানমতো
- তেল : পরিমাণমতো
যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাণমতো লবণ ও তিন কাপ পানি দিন। ভালো করে মেশান। লবণ-পানি মিশে গেলে দুই কাপ চালের গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন ভালো করে। পাতলা একটা মিশ্রণ তৈরি হবে। এরপর মিশ্রণটির সঙ্গে একটি ডিমের অর্ধেকটা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এ অবস্থায় মিশ্রণটি ১৫ মিনিট রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর একটি কড়াইতে তেলের প্রলেপ দিয়ে মিশ্রণটির মধ্যে হাত চুবিয়ে কড়াইতে ছিটা দিন, অর্থাৎ আঙুলগুলো প্রলেপ দেওয়া তেলের ওপর ঝেড়ে নিন। এভাবে প্রতি রুটির জন্য তিন/চারবার মিশ্রণটিতে হাত চুবিয়ে পরপর কড়াইতে ছিটা দিন। চুলার আঁচ কমানো থাকবে। রুটি যেন পুড়ে না যায়, খেয়াল রাখবেন। রুটি হয়ে গেলে আলতো করে রুটির কোনায় খোঁচা দিয়ে তুলে নিন, যেন ভেঙে না যায়। এভাবে প্রতিবারে তেলের হালকা প্রলেপ দিয়ে তিন/চারবার ছিটা দিয়ে পাতলা করে রুটি তৈরি করুন। রুটিগুলো যেন গরম থাকে, এমন কিছুতে তুলে রাখুন পরিবেশনের আগে পর্যন্ত। এরপর গরম গরম পরিবেশন করে ফেলুন।