দাম্পত্য জীবনে সুখ আনতে বেডরুমে আনুন ৫ বদল
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা, বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ, জীবনের নানা রকম জটিলতা— সব কিছুর ছাপ পড়ে দাম্পত্য জীবনে। প্রতিদিনের ব্যস্ততায় নিজেদের মধ্যে সময় কাটানো আর হয়ে ওঠে না। বিয়ের পর যতদিন কাটতে থাকে, দাম্পত্য জীবনের রসায়নও যেন বদলাতে শুরু করে।
দাম্পত্যে সুখ ফেরাতে অনেকে অনেক রকম চেষ্টাই করেন। এজন্য কেউ বেড়াতে যান, কেউ সঙ্গীকে সারপ্রাইজ দেন, কেউ আবার সঙ্গীর জন্য উপহার কিনে আনেন। তবে দাম্পত্যে সুখ ফেরাতে ভূমিকা রাখে রুমের পরিবেশও। তাই কেবলমাত্র বেডরুমে সামান্য বদল এনে দেখতে পারেন, কীভাবে দাম্পত্য জীবনে সুখ ফিরে আসে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তাড়াহুড়ো থাকলেও, শোয়ার ঘরটি কখনোই অপরিষ্কার রেখে যাবেন না। যেমন— খাটের উপর তোয়ালে, ঘরের এক পাশে নোংরা মোজা, অগোছালো ড্রেসিং টেবিল রাখার অভ্যাস সবার আগে বদলে ফেলুন। ঘর যত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন, পরিবেশ ততই রোম্যান্টিক হবে। মন-মেজাজও ভালো থাকবে।
বিছানার সাজ
রঙ ওঠা চাদর বিছানায় ব্যবহার করা যাবে না। উজ্জ্বল রঙ, যেমন— লাল, গোলাপি, নীল রঙের চাদর ব্যবহার করা যেতে পারে। হালকা রঙ পছন্দ হলে সাদা কিংবা প্যাস্টেল শেডের চাদরও বেছে নিতে পারেন। বিছানার উপর কয়েকটি নরম বালিশ, বিছানার চাদরের সঙ্গে মানানসই রঙের কমফোর্টার রাখতে ভুলবেন না। বিছানার উপর কোনো জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন না।
সুগন্ধির ব্যবহার
বেডরুমে রোমান্টিকতার ছোঁয়া আনতে সুগন্ধির উপর নির্ভর করাই যায়। একটা বড় পাত্রে খানিকটা পানি রেখে তার উপর গোলাপের কয়েকটি পাপড়ি ছড়িয়ে ল্যাভেন্ডার, জেসমিন ইত্যাদির গন্ধযুক্ত ‘এসেনসিয়াল’ তেল ছড়িয়ে দিতে পারেন। এ ছাড়া, সুগন্ধি মোমবাতি কিংবা টাটকা ফুলও ব্যবহার করতে পারেন।
গান শোনার ব্যবস্থা
মনমেজাজ ভাল রাখতে কিন্তু গানের উপর নির্ভর করতেই পারেন। শোয়ার ঘরে ঢুকে সারা দিনের ক্লান্তি মেটাতে চাইলে, একটা রোমান্টিক গান চালিয়ে দেখুন, বেশ উপকার পাবেন। দু’জনে মিলে একান্ত মুহূর্ত কাটানোর সময়েও গান চললে বেশ ভালই লাগে। তাই শোয়ার ঘরে একটা ব্লুটুথ স্পিকার রাখা যেতেই পারে।
আলো-আঁধারি পরিবেশ
ডিম লাইট, মোমবাতির আলো, টুনির আলো— ঘরের পরিবেশ বদলে ফেলার জন্য যথেষ্ট। ঘনিষ্ট মুহূর্তে আলো-আঁধারির পরিবেশটা ভালই জমবে।