শীতে বিয়ে করার ৬ সুবিধা
অনেকেই শীতে বিয়ের জন্য উপযুক্ত সময় মনে করেন। এজন্য শীতে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। তবে বিয়ের সঙ্গে শীতের যে সম্পর্কই থাকুক না কেন। শীতকালে বাড়তি কিছু সুবিধা পান বিয়ের আয়োজক পরিবার। তাই আপনি যদি বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে চিন্তিত হন। পরিবারের একান্ত কারও বিয়ের জন্য প্ল্যানিং করে থাকেন, তবে এই শীতের সময় নির্বাচন করতে পারেন।
পরিশ্রমে সুবিধা
বিয়ের আয়োজন করতে আয়োজকদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। বিয়ের প্যান্ডেল, খাওয়া-দাওয়াসহ অনেক কাজ করতে হয় বিয়েতে। সাধারণত গরমের দিনে একটু পরিশ্রম করলেই হাপিয়ে উঠতে হয়। কিন্তু শীতের দিনে এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। তাই শীতকালেই বিয়ে সেরা।
সাজগোজে স্বস্তি দেয়
আমাদের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে শীতের সময় ছাড়া দীর্ঘ সময় মেকআপ থাকে না। অত্যাধিক গরমে ঘামের মেকআপ গলে যায়, সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু শীতের সময় বিয়ের সাজগোজ সহজ হয়। তাই বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়ে বাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে মন মতো।
ডেকোরেশন
শীতকালে অনেক ফুল পাওয়া যায়। রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁইসহ নানান টাটকা ফুল পাওয়া যায়। তাই কৃত্রিম ফুলের প্রয়োজন হয় না। চাইলে পুরো বিয়ের অনুষ্ঠান প্রাকৃতিক ফুলে সাজানো যায়। তাতে বিয়ের চাকচিক্য আলাদা মর্যাদা পায়।
ফল কেনার ঝামেলা নেই
সাধারণত গরমের সময় নানান মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। কিন্তু ফলফলাদি কেনার ঝুঁকি থাকে। অথচ এইসব মৌসুমী ফল শীতে বেশি পাওয়া যায় না। যেমন শীতে আম, লিচুর ফলন খুব একটা নেই। তাই শীতের সময় বিয়ে হলে মৌসুমী ফল কেনার ঝামেলাও নেই।
মশারি টানানোর ঝামেলা নেই
বিয়ের আয়োজনে সাধারণ বাড়িতে বহু মানুষের উপস্থিতি থাকে। কিন্তু একটি পরিবারে অতিরিক্ত মশারি তেমন থাকে না। তাই শীতের সময় বিয়ে হলে সুবিধা, বেশিরভাগ সময় মশারি দরকার হয় না। এমনিতে মশা কম থাকে। আবার অনেকে লেপ-কম্বল দিয়ে মুখ ঢেকে দিয়ে ঘুমালে মশা কামড়ানোর সুযোগ নেই।
বিদ্যুৎ বিলে সাশ্রয়ী
শীতকালে ফ্যান চালাতে হয় না। আবার দ্রুত ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে। তাই সব লাইট-টিভিও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এতে মাসিক বিদ্যুৎ বিল কম হবে।