নরসিংদীতে শিক্ষার্থী অপহরণের সময় গ্রেপ্তার ৫
নরসিংদীর পলাশে মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণের সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আল-আমিন।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন—পলাশ উপজেলার ইছাখালীর (পূর্বপাড়া) তামজিদ মিয়া (২১), জয়পুরার মানিক মৃধা (২১), নাঈম মৃধা (২১), খাসহাওলা এলাকার আফসার মিয়া (২১) ও শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ সাধারচরের তৈয়বুর করিম (১৮)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আল-আমিন জানান, বুধবার দুপুরে ইছাখালী দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী সিফাত (১৭) পরীক্ষা শেষে বাইরে তার বন্ধু ইতির (১৬) সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় অপহরণকারীরা সিফাত ও ইতি আক্তারের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। তাঁরা জোর করে তাদের আপত্তিকর ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন।
পরে সিফাতের কাছে থেকে ২৫০ টাকা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ইতি আক্তারের কাছ থেকে পাঠ্যবইসহ ১৩০ টাকা ছিনিয়ে নেন। এরপর অপহরণকারীরা সিফাতকে পাঁচ হাজার টাকার দাবিতে নানা হুমকিধমকি দেন।
একপর্যায়ে অপহরণকারীরা সিফাত ও ইতি আক্তারকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পলাশ থানার গজারিয়া ইউনিয়নের সরকারচর মোড়ে চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় পুলিশ তাঁদের আটক করে। এ সময় পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে সিফাত ও ইতি আক্তারকে উদ্ধার করে। পরে আটক করা অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছিনতাই করা মালামাল উদ্ধার করে এবং সেই সঙ্গে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, অপহরণকারীদের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের স্বভার চরিত্র ভালো না। তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন পর্যালোচনায় প্রচুর অশ্লীল কনটেন্ট পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সিফাতের বাবা মো. ফোরকান (৫৫) বাদী হয়ে পলাশ থানায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে মামলা করেন। তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।