চুরির টাকা ফেরত আনেন, দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না : মির্জা আব্বাস
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, একনায়কতন্ত্রের যেভাবে পতন হয়, তা আপনারা সহ্য করতে পারবেন না। আমাদের দাবি, চুরির টাকা যা নিয়ে গেছেন, তা ফেরত আনেন। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। ৪৭ সালে একটা হয়েছিল সেটা অন্য কারণে। রাজনৈতিক কারণে নয়। এখন যদি হয় রাজনৈতিক কারণে হবে।
ফরিদপুরে আজ শনিবার বিকেলে আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট চত্বরে বিএনপির গণসমাবেশের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে বেলা ১১টায় ফরিদপুর গণসমাবেশ শুরু হয়। কোরআন তেলওয়াত করেন ফরিদপুর ওলামা দল আহ্বায়ক হাফেজ মওলানা কবির হোসেন। গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘গলা টিপে ধরার দিন শেষ, এখন খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের বাংলাদেশ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে আপনারা ভোট দিতে পারবেন না। আমরা লড়াই করে ভোটের অধিকার আদায় করবো। নয় হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করে দিয়ে, ডাল কেনার টাকা, চাল কেনার টাকা নাই, শুধু নাই নাই। শুধু আছে আওয়ামী লীগ। তাও আবার জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগ।
মির্জা আব্বাস বলেন, এইভাবে চলতে থাকলে সরকারের সমর্থন কমে যাবে, গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে। আরে সরকারের সমর্থন যদি থাকতো তাহলে তো আমাদের সমাবেশে বাধা দিতো না। সুযোগ পেলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে জানাবো, আপনাদের ভালোবাসার কথা। ফরিদপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই, আপনারা আওয়ামী লীগকে দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ফরিদপুরে গণজোয়ার দেখে ভালো লাগল। এতোদিন বলতো কার কার জানি ঘাঁটি। আপনারা প্রমাণ করেছেন, ফরিদপুরের মাটি বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ঘাঁটি। গত দু্ইদিন সভাপতি প্রধান অতিথি ছাড়া সমাবেশ হয়েছে। সাধারণ মানুষ এই দুইদিন সমাবেশ করেছে। এই মাটির মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এই সরকার এতই ভয় পেয়েছে, জলে-স্থলে, আকাশে-বাতাসে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের সমাবেশের লাইভ প্রচার করবে, তাই নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যার বিচার, দলের চেয়ারপারসনের নিঃশর্ত মুক্তি ও দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনাসহ নয়টি দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ষষ্ঠ গণসমাবেশ এটি।
আগের ৫টি গণসমাবেশের মতো ফরিদপুরকেও গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। চলছে গণপরিবহণ ধর্মঘট। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিআরটিসি বাসও চলছে না এখানে। সব বাধা উপেক্ষা করেই আরেকটি বিশাল শোডাউন করতে যাচ্ছে বিএনপি। এখন পর্যন্ত প্রথম পাঁচটি জনসভা সফলভাবে শেষ করেছে দলটি। আশেপাশের জেলাগুলো থেকে দুদিন আগেও অনেক নেতাকর্মী চলে এসেছেন সমাবেশস্থলে। ধর্মঘটের কারণে, যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।