যুগপৎ আন্দোলনে ঐকমত্য গণতন্ত্র মঞ্চ-বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের জনগণের হাতে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পর, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করব। তারপর রাষ্ট্র মেরামতে কাজ করব। সেইজন্য আমরা ইতোমধ্যে ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আজকে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর আগেও আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করেছি। আজকে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা হয়েছে। এখানে আমরা কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছি।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলব। ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। একই সঙ্গে পরবর্তীতে রাষ্ট্রের মেরামতসহ বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছি। আশা করি আরও বিস্তারিত আলোচনা করে সার্বিক বিষয় চূড়ান্ত করতে একমত হতে পারব। আপাতত যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা অবগত ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটা আগ্রহ ও উদ্যোগ সৃষ্টি হয়েছে এই অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে; আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরকার পতনে। বিষয়গুলো দ্রুত করতে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হবে। যার মাধ্যমে দলীয় কর্মসূচি, আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণ করা হবে। বিশ্বাস করি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব।’
সংলাপে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আ স ম আবদুর রব, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, ইমরান ইমন প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।