কক্সবাজারে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসা'র ছয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১৫। র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী আজ শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।  

গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ই-ব্লকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

আটক আরসার সদস্যরা হলেন উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের কে-১২ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আরব (২৪) এবং একই আশ্রয় শিবিরের কে-৬ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ নূরু (৩১), এফ-২৩ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুছ (৩৩), এম-১৯ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ হারুন (২৮), এম-১১ ব্লকের বাসিন্দা মো. মীর কাশিম ওরফে হামিদ হোসেন (২২) ও এম-১৯ ব্লকের বাসিন্দা হাফিজুল আমীন (২৫)।

আবু সালাম জানান, গতকাল মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ই-ব্লকের জনৈক আবুল ফয়েজের দোকানের সামনে পাকা সিঁড়িতে অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে কতিপয় দুষ্কৃতকারি সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে—এমন খবরে র‍্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) যৌথ দল অভিযান চালায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০ থেকে ১৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টায় করে। পরে ধাওয়া দিয়ে ছয় জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় তাঁদের দেহ তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি একটি বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। পরে তাঁদের র‍্যাব হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাতে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আধিপত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন অবৈধ সুবিধাদি আদায়ের জন্য তারা ময়নার ঘোনা ক্যাম্পে অবস্থান করছিল। তারা  মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসার সক্রিয় সদস্য।

আটক আরসার এই সক্রিয় সদস্যদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান র‍্যাব কর্মকর্তা মো. আবু সালাম চৌধুরী।