মালদ্বীপকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
হারলে বাদ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের বিপক্ষে ২০০৩ সালের পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয় নেই বাংলাদেশের। এই ম্যাচেও শুরুতে পিছিয়ে পড়ে সোহেল-মোরসালিনরা। তবে, বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সব অনিশ্চয়তা ও পরিসংখ্যানকে এক পাশে রেখে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতেছে তারা।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ এর ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রোববার (২৫ জুন) মালদ্বীপের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছ হার দিয়ে আসর শুরু করা দলটি আজ শুরু থেকেই সাবধানতার সঙ্গে ছিল আক্রমণাত্মক। নিজেদের দখলে বল রেখে মধ্যমাঠ নিয়ন্ত্রণ করেছে তারা। যদিও তাদের রক্ষণভাগকে স্থির রেখেই মালদ্বীপের আচমকা শটে হজম করতে হয়েছে গোল।
১৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন মালদ্বীপের হামজা মোহাম্মদ। অকস্মাৎ আসা শট ঠেকানোর উপায় ছিল না বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর। গোটা প্রথমার্ধে বাংলাদেশের গোলমুখে এটিই মালদ্বীপের একমাত্র শট।
গোল হজম করেও ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখে বাংলাদেশ। একের পর আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে গোলের দেখা মেল প্রধমার্ধেই। তখন সময় গড়িয়েছে ৪২ মিনিট। রাকিব হোসেনের দারুণ এক হেডারে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় উজ্জীবিত দলটি।
বিরতি থেকে ফিরে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা যেন আরও শানিত ও গোছালভাবে খেলে। ছোট ছোট পাসে চেষ্টা করে মালদ্বীপের গোলমুখ ভাঙতে। ৫১ মিনিটে টু অন টুতে সহজ সুযোগ মিস করেন জামাল ভূঁইয়া ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৬৭ মিনিটে কর্নার পায় বাংলাদেশ। এবার আর ভুল করেনি। কর্নার থেকে গোল আদায় করে বাংলাদেশ। তিনবারের প্রচেষ্টায় গোল করেন তারিক কাজী। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় তারা।
৭৮ মিনিটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক জিকোর পরীক্ষা নেয় মালদ্বীপ। বাম প্রান্ত থেকে দারুণ এক ক্রস করলেও জিকো গোল হতে দেননি। আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ। ৮৯ মিনিটে পেয়ে পেয়ে যায় তৃতীয় গোল। মালদ্বীপের ডি বক্সের ভেতর শেখ মোরসালিনের কাছে পাস দেন বিশ্বনাথ ঘোষ। সেখান থেকে মালদ্বীপের ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে চমৎকার গোল করেন মোরসালিন।
৯১ মিনিটে মালদ্বীপের একমাত্র গোলদাতা হামজার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আরও একটি শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। বিপদমুক্ত হয় বাংলাদেশ। অবশেষে দীর্ঘ ২০ বছর পর সাফে মালদ্বীপকে পরাজিত করে। ৩-১ গোলে পাওয়া এই জয়ে সেমিফাইনালের আশাও বেঁচে রইল বাংলাদেশের।