অর্থনীতিতে শক্ত ভিত গড়বে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : ডেপুটি স্পিকার
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হওয়ার পর দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে এবং অর্থনীতিতে শক্ত ভিত গড়বে। আজ বুধবার (২৬ জুলাই) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মত বিনিময়কালে ডেপুটি স্পিকার এ কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে দ্রুতই দেশের শতভাগ বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। বর্তমান সরকারের গৃহীত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সব চেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে এই মেগা প্রকল্প। প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হওয়ার পর দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে এবং অর্থনীতিতে শক্ত ভিত গড়বে।
প্রকল্প এলাকার ইউনিট-১ ও ২ সরেজমিন পরিদর্শন করেন ডেপুটি স্পিকার। এ ছাড়া প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রাশিয়ান প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে প্রধান প্রকৌশলী খোশলেভ প্রকল্পের অগ্রগতিবিষয়ক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। ২০২৩ সালে মেগা প্রজেক্টটির সিভিল ওয়ার্ক শেষ হতে পারে এবং ২০২৪ সালের নভেম্বর নাগাদ এর অন্যান্য কাজ শেষ হতে পারে বলে প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর নেতৃত্বে সংসদ সদস্য মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস, শাহিন আক্তার, খালেদা খানম, শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, বাসন্তী চাকমা, শামসুন নাহার, নার্গিস রহমান, মনিরা সুলতানা, নাদিরা ইয়াসমিন জলি, রত্না আহমেদ, সালমা চৌধুরী, সেলিনা ইসলাম, মোছা. ডরথী রহমান পরিদর্শনে অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি স্পীকার আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। তখন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ শিল্পাঞ্চলের চাহিদা পূরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশ নোঙর করবে।’
পরে সংসদ সদস্যরা ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য একটি করে আমের চারা রোপণ করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।