ঋণের আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে ফেরত দিল শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণের ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এ অর্থ ফেরত দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত ২১ আগস্ট প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেয় দেশটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণের আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার ফেরত এসেছে। গত ২১ আগস্ট এসেছিল ৫০ মিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়, আশা করা যায় বাকি অর্থও যথাসময়ে ফেরত দেবে দেশটি।’
এদিকে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ে চার কিস্তিতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেয় বাংলাদেশ। কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতির আওতায় এ ঋণ দেওয়া হয়েছিল দেশটিকে। দেশটিকে দেওয়া একবছর মেয়াদি ঋণের মেয়াদ শেষ হয় গত বছর সেপ্টেম্বরে। পরে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাস করে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। ঋণের বিপরীতে লন্ডন আন্তব্যাংক অফার রেট (লাইবর) যোগ দেড় শতাংশ সুদ পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫০ মিলিয়ন ডলার বা পাঁচ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় দফায় ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় ৩০ অক্টোবর। আর একই বছরের নভেম্বরে পাঁচ কোটি ডলার দেওয়া হয় দেশটিকে। এক বছরের ঋণ চুক্তির আওতায় গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা। তবে নাজুঁক অবস্থায় থাকায় নির্ধারিত সময়ে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় দেশটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবমতে, ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বর্তমানে দেশের রিজার্ভ আছে দুই হাজার ৯২০ কোটি ডলার (২৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন)। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি মতে, দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৩০৬ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক শূন্য ছয় বিলিয়ন ডলারে। এ রিজার্ভ দিয়ে চার মাসের মতো আমদানি দায় (প্রতি মাসে ছয় বিলিয়ন ডলার হিসাবে) মেটানো যাবে।