রায় কার্যকরে বাকি তিন প্রক্রিয়া
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে আরো তিনটি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এই তিন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই রায় কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
আজ মঙ্গলবার সকালে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। রায় ঘোষণার পর এখন অপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ রায়ের।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আবেদন করতে পারবেন মীর কাসেম আলী। এই রিভিউ আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি হবে। শুনানি শেষে তাঁর আবেদন খারিজ হলে এ বিষয়ে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পরই সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ হবে। এরপর তাঁর সামনে আরেকটি পথ খোলা থাকবে। আর সেটি হলো রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা। রাষ্ট্রপতি যদি প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন, তাহলে যেকোনো দিন তাঁর ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে রাষ্ট্রপক্ষ।
সাধারণত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পাওয়ার পর সেই কপিতে সই করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা। এরপর তাঁরা সই করবেন মীর কাসেমের মৃত্যু পরোয়ানায়। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যু পরোয়ানা পাঠানো হবে কারাগারে। সেখানে তাঁকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হবে।
এর মধ্যে যদি পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হয়, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া না হয় বা রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করেন, তাহলে যেকোনো দিন রায় কার্যকর করতে পারবে রাষ্ট্রপক্ষ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, কারাবিধি এ আইনে কার্যকর নয়। তাই একজন দণ্ডিতের রায় রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার রায় হওয়ার পর থেকে যে কোনো সময় রায় কার্যকর করতে পারবে সরকার।
অর্থাৎ মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ, পুনর্বিবেচনার আবেদন ও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা—এ তিনটি প্রক্রিয়া বা ধাপ রয়েছে।