পুলিশ বলছে আত্মহত্যা, চিকিৎসক বলছেন না
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/11/photo-1457688671.jpg)
ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানাহাজতে এক আসামির মত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ওই হাজতির নাম কাজল মণ্ডল (৩৫)। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানাধীন রাজাপুর গ্রামের জুলহাস মণ্ডলের ছেলে।
পুলিশের দাবি, নিহত কাজল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু চিকিৎসক জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিবুল ইসলাম বলেন, কাজল মণ্ডলকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভাটাই বাজার থেকে গাঁজাসহ কাজল মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ সকালে থানার হাজতখানার বাথরুমে গলায় লুঙ্গি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান তিনি।
নিহত কাজল মণ্ডলের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা হক জানান, মৃত্যুর এক ঘণ্টা পরে কাজলকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁকে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয় এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে ১২টা ২৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ফাহমিদা আরো জানান, প্রাথমিকভাবে মরদেহের শরীরে আত্মহত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পরে সঠিক কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে থানাহাজতে নির্যাতনে কাজলের মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
এদিকে বিকেল ৪টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, শৈলকুপা থানাহাজতে মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রত্যুস কুমার মজুমদারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার রায়ের উপস্থিতে লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।