মামলা ও গ্রেপ্তারে নিজেদের পতন ত্বরান্বিত করছে সরকার : ১২ দলীয় জোট
যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ঘোষিত সারা দেশে তৃতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিলে ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা বলেছেন, মামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে নিজেদের পতন ত্বরান্বিত করছে সরকার।
আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে বিজয় চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে এ কথা বলেন দলটির নেতাকর্মীরা।
দলটির নেতারা বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে লাখ লাখ নিরস্ত্র মানুষের ওপর পুলিশ ও যুবলীগ ছাত্রলীগের অতর্কিতে নির্মম হামলা গুলি সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ করে। এভাবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পণ্ড করে দেওয়া ইতিহাসের জঘন্য বর্বোরোচিত ঘটনা হিসেবে উল্লিখিত হবে। এই ঘটনার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ দেশে এবং বিদেশে তার অগণতান্ত্রিক রূপটা স্পষ্ট করে তুলেছে। নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। ক্ষোভে দুঃখে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে প্রতিপক্ষ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় সব নেতাকে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে অযৌক্তিক ও অনৈতিকভাবে প্রতিহিংসাবশত গ্রেপ্তার করে আত্মতুষ্টি বোধ করছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বীজ রোপিত হয়েছে। যেটা অচিরেই বুঝতে পারবে।
নেতারা সরকারের প্রতি শেষ বারের মতো আত্ম-অনুধাবন করে সব রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এটাই সমঝোতার শেষ উপায়। যথেষ্ট হয়েছে আর বাড়াবাড়ি করবেন না।’
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম মেম্বার নওয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব প্রমুখ।