বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে ‘কিছুটা তরুণ’দের চান এমাজউদ্দিন
সময়ের দাবি অনুযায়ী ঢেলে সাজাতে হবে, বিএনপিকে পাল্টাতে হবে আন্দোলনের কৌশল। এমন তাগিদের বিপরীতে রয়েছে প্রতিশ্রুতিও। বলা হচ্ছে কাউন্সিলের মাধ্যমে রাজনীতিতে নতুন এক ইতিবাচক ধারার সূচনা করতে চায় দলটি।urgentPhoto
দলের নেতৃত্বকে জবাবদিহি ও গতিশীল করতে কাউন্সিলে চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন আদর্শ ঢাকা আন্দোলন এবং শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দিন আহমদ। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা অসম্ভব হলেও দলে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করেন এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
এমাজউদ্দিন বলেন, ‘এই কাউন্সিলের মাধ্যমে কারা স্ট্যান্ডিং কমিটিতে (স্থায়ী কমিটি) আসবেন, যাঁরা বিদায় নিয়েছেন তাঁরা তো নিয়েছেন। আরো কিছু বয়োবৃদ্ধ আছেন যাঁদের সসম্মানে কোনো একটা জায়গা করে দিয়ে মধ্যবয়সী অথবা কিছুটা তরুণ—এ ধরনের ব্যক্তির আগমন একটা অপরিহার্য ব্যাপার। শুধু এই স্তরটার কথা বলছি না, তার নিচের দিকে যদি তাকানো যায়, প্রত্যেকটা জায়গাতে একই সমস্যা।’ তাঁর মতে, আন্দোলনের গতানুগতিক ধারা থেকেও বের হয়ে আসতে হবে দলটিকে।
এমাজউদ্দিন বলেন, ‘যে ধরনের আন্দোলন হয়েছিল, এ ধরনের কাজকর্মে না গিয়ে আন্দোলন করার নতুন প্রক্রিয়া যেটা এই প্রক্রিয়ার উদভাবন এখান থেকে হয়, এ কাউন্সিলের মাধ্যমে হয়। কারণ হলো একবার যদি বিরোধী দল শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে ওই ক্ষমতাসীন দলও সাবধান হবে।
দলের মহানগর, জেলা, উপজেলা এবং পৌরসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং প্রতিটি মহানগর ও জেলা থেকে দুজন করে মনোনীত নারী কাউন্সিলর নিয়ে হতে যাচ্ছে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল। সাথে চেয়ারপারসনের মনোনীত বিশেষ কাউন্সিলর হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মোট কাউন্সিলরের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে কাউন্সিলরের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। যার মধ্যে সাংগঠনিক কাঠামোর কাউন্সিলররা অধিকাংশই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির।
তৃণমূলের কাউন্সিলের দায়িত্বে থাকা বিএনপির যুগ্মমহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে নির্দেশনা থাকবে জাতীয় কাউন্সিলে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর সরকারের যে বিদ্বেষমূলক আচরণ, আমরা মনে করছি হয়তো জেলা কাউন্সিলগুলো সম্ভবত করতে পারব না। এ জন্য আমাদের যেহেতু কাঠামো আছে, কমিটি আছে, হয়তো কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ। কিন্তু কাউন্সিলর নির্ধারণে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আগামীতে আমরা চেষ্টা করছি, দলের ভেতরে আমরা আলোচনা করছি, এটাকে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখার জন্য। আমাদের একটা উইং থাকবে, যার কাজ হবে শুধু দলকে আপডেট করা।’
এমন অনেক প্রত্যাশার প্রতিফলন, কাউন্সিলে হবে বলে জানান বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব।
শাহজাহান বলেন, ‘আমরা কতটুকু আধুনিক চিন্তাভাবনা করি, এটা ইনশাল্লাহ আমাদের কাউন্সিলের পর, আমাদের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র এবং আমাদের কমিটি কীভাবে সাজাই তাতে আমরা স্পষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করব এবং আশা করি, রাজনীতিতে একটা নতুন ইতিবাচক ধারা আমরা তৈরি করতে সক্ষম হব।’
প্রায় ছয় বছর পর আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল।