প্রতিবন্ধিতা জয় করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান সরদার আসাদুজ্জামান
সরদার আসাদুজ্জামান বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যুবক (প্রতিবন্ধী)। এই অবস্থায় তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য কাজের সন্ধানে ঘুরছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ইতোমধ্যে একটি চিঠি দিয়েছেন তাকে একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। তিনি সব সময় প্রধানমন্ত্রীর ছবি গলায় ঝুলিয়ে চলাচল করেন।
বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতার কারণে বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করা বা চাকরি পাওয়া তার জন্যে দুরূহ হয়ে পড়েছে। প্রতিবন্ধী সরদার আসাদুজ্জামান ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত। তার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেন। ২৭ বছর বয়সী সরদার আসাদুজ্জামান এর প্রতিবন্ধী কার্ডও রয়েছে। তবে নিজেকে কখনও প্রতিবন্ধী মনে করেন না তিনি।
অদম্য এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যুবকের পৈতৃক বাড়ি বাগেরহাট সদর থানার আফরা যাত্রাপুর। বাবা প্রয়াত সরদার আব্দুর রাজ্জাক ও মা দিলারা বেগম। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। বড় দুই বোন কামরুন্নাহার তুলি ও শারমিন নাহার। তারাও গৃহিণী। বাবা–মা কেউ না থাকায় এখন থাকেন খুলনার নিরালায় বড় বোনের বাসায়।
সরদার আসাদুজ্জামান নিজেকে বোঝা মানতে রাজি নন। তাই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন। এইচএসসি পাস করে খুলনা সিটি কলেজ কেন্দ্রে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি প্রথম বর্ষ শেষ করেছেন। দ্বিতীয় বর্ষের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি টাকার অভাবে। দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৫ ফেব্রুয়ারি) এনটিভি অনলাইনকে সরদার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বোঝেনই তো ভাই বাবা-মা নাই। বোনেরা গৃহিণী তাই তারাও সাহায্য করতে পারছে না। আজ ছিল ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন। ৬ হাজার টাকার অভাবে সেটাও করতে পারলাম না। আমার একটা বছর লস হয়ে গেল। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, আমাকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়ে আমার জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করেন।’